ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বদলির পরেও বহাল তবিয়তে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কায়সার খসরু

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৩০ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব সংবাদদাতা

গাজীপুরে বিতর্কিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কায়সার খসরু(১৭১০১) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পদে বদলির পরেও বহাল তবিয়তে। গত ২২ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন দ্বারা উনাকে বদলি করা হয়।

জানা যায়, বিসিএসের ৩১ তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে যোগদান করেন। জেলা প্রশাসকের জেলা প্রশাসকের দপ্তরগুলোর মধ্যে রাজস্ব ও এলএ শাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ শাখায় কর্মরত থেকে অনেকেই কোটিপতি বনে গেছেন। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে যতগুলো ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে তার মধ্যে জনতার সেবা করার সরাসরি সুযোগ রয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের। অথচ এই কর্মকর্তা যেখানেই দায়িত্বে গেছেন করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার, জনসেবার বদলে বাড়িয়েছেন জন ভোগান্তি, করেছেন দুর্নীতি-অনিয়ম। এই কর্মকর্তার বাণিজ্য নীতির কারণে উনার অধীনস্থ বিভিন্ন ভূমি অফিসে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম করতে কর্মকর্তারা উৎসাহিত হয়। কারো কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও তিনি রক্ষক হয়েও বক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এডিসি কায়সার ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল থেকে উনার মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা নেওয়াসহ ভূমি অফিসের তহসিলদার, সার্ভেয়ার, কানুনগো, নাজির, অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কদের বদলী বাণিজ্য করারও অভিযোগ রয়েছে। একারণেই এই কর্মকর্তা বদলীর প্রজ্ঞাপনের আদেশ হলেও অলৌকিক ক্ষমতায় লোভনীয় ও অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় এখনো দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি ২০২২ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) পদে কর্মরত থাকার সময় এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ব্যাপক বিতর্কিত হন। পরে উনাকে টেকনাফ থেকে প্রত্যাহার করে ওএসডি করা হয়।

এবিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছে জানতে উনার কার্যালয়ে গেলে উনার পিয়ন প্রতিবেদককে জানান, উনি সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন না। যার কারণে উনার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি সাড়া দেন নি।

এবিষয়ে জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান, অনুসন্ধান করে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বদলির পরেও বহাল তবিয়তে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কায়সার খসরু

আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব সংবাদদাতা

গাজীপুরে বিতর্কিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কায়সার খসরু(১৭১০১) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পদে বদলির পরেও বহাল তবিয়তে। গত ২২ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন দ্বারা উনাকে বদলি করা হয়।

জানা যায়, বিসিএসের ৩১ তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে যোগদান করেন। জেলা প্রশাসকের জেলা প্রশাসকের দপ্তরগুলোর মধ্যে রাজস্ব ও এলএ শাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ শাখায় কর্মরত থেকে অনেকেই কোটিপতি বনে গেছেন। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে যতগুলো ক্যাডার সার্ভিস রয়েছে তার মধ্যে জনতার সেবা করার সরাসরি সুযোগ রয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের। অথচ এই কর্মকর্তা যেখানেই দায়িত্বে গেছেন করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার, জনসেবার বদলে বাড়িয়েছেন জন ভোগান্তি, করেছেন দুর্নীতি-অনিয়ম। এই কর্মকর্তার বাণিজ্য নীতির কারণে উনার অধীনস্থ বিভিন্ন ভূমি অফিসে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম করতে কর্মকর্তারা উৎসাহিত হয়। কারো কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও তিনি রক্ষক হয়েও বক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এডিসি কায়সার ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল থেকে উনার মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা নেওয়াসহ ভূমি অফিসের তহসিলদার, সার্ভেয়ার, কানুনগো, নাজির, অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কদের বদলী বাণিজ্য করারও অভিযোগ রয়েছে। একারণেই এই কর্মকর্তা বদলীর প্রজ্ঞাপনের আদেশ হলেও অলৌকিক ক্ষমতায় লোভনীয় ও অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় এখনো দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি ২০২২ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) পদে কর্মরত থাকার সময় এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ব্যাপক বিতর্কিত হন। পরে উনাকে টেকনাফ থেকে প্রত্যাহার করে ওএসডি করা হয়।

এবিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছে জানতে উনার কার্যালয়ে গেলে উনার পিয়ন প্রতিবেদককে জানান, উনি সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন না। যার কারণে উনার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি সাড়া দেন নি।

এবিষয়ে জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান, অনুসন্ধান করে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।