ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে চাঁদাবাজির অপরাধে গ্রেফতার ১

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর মহানগরীতে চাঁদাবাজি করার অপরাধে স্বপন নামের এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি সদর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার এসআই উজ্জল মিয়া।

গ্রেফতারকৃত স্বপন হলো- সদর থানার টাংকিরপাড় এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে। সে গত ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজি করছে। অপরদিকে ভুক্তভোগী হলেন- শ্রীপুর থানার দক্ষিণ বাগমারা এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে রবিউল আলম। উনি পেশায় সিএনজি চালক।
জানা যায়, গাজীপুর রাজদীঘিরপাড় হইতে শ্রীপুর সিএনজি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সর্বমোট ৮০ টি সিএনজি প্রতিদিন চলাচল করে। গ্রেফতারকৃত স্বপনসহ তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতি সিএনজি থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা তুলে । সিএনজি চালকরা সিএনজি চালানোর জন্য নিরুপায় হয়ে এই বিষয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করছে । কিন্তু কিছুদিন যাবত আরো অধিক পরিমাণে চাঁদা প্রদানের জন্য সিএনজি চালকদের চাপ দিলে উনারা চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে সিএনজি চালকদের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে সিএনজি চালাইতে দিবে না মর্মে হুমকি দিয়ে সিএনজি চালক মোশারফকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। এ সময় উপস্থিত সকল সিএনজি চালক ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতি সিএনজি থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা না দিলে সিএনজি চালাইতে দিবে না মর্মে হুমকি দিয়া চলে যায়।

পুলিশ জানায়, এঘটনায় সিএনজি চালকদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়। জিএমপি অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসান, এডিসি রবিউল ইসলামের দিক-নির্দেশনায় সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমের নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসানের নিরলস প্রচেষ্টায় সদর থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজ স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান পিপিএম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক স্বপন নামের এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের তথ্য সংগ্রহ করতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে চাঁদাবাজির অপরাধে গ্রেফতার ১

আপডেট সময় : ০৬:১৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

গাজীপুর মহানগরীতে চাঁদাবাজি করার অপরাধে স্বপন নামের এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি সদর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার এসআই উজ্জল মিয়া।

গ্রেফতারকৃত স্বপন হলো- সদর থানার টাংকিরপাড় এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে। সে গত ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজি করছে। অপরদিকে ভুক্তভোগী হলেন- শ্রীপুর থানার দক্ষিণ বাগমারা এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে রবিউল আলম। উনি পেশায় সিএনজি চালক।
জানা যায়, গাজীপুর রাজদীঘিরপাড় হইতে শ্রীপুর সিএনজি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সর্বমোট ৮০ টি সিএনজি প্রতিদিন চলাচল করে। গ্রেফতারকৃত স্বপনসহ তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতি সিএনজি থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা তুলে । সিএনজি চালকরা সিএনজি চালানোর জন্য নিরুপায় হয়ে এই বিষয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিয়মিত চাঁদা প্রদান করছে । কিন্তু কিছুদিন যাবত আরো অধিক পরিমাণে চাঁদা প্রদানের জন্য সিএনজি চালকদের চাপ দিলে উনারা চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ কারণে সিএনজি চালকদের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে সিএনজি চালাইতে দিবে না মর্মে হুমকি দিয়ে সিএনজি চালক মোশারফকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। এ সময় উপস্থিত সকল সিএনজি চালক ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতি সিএনজি থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা না দিলে সিএনজি চালাইতে দিবে না মর্মে হুমকি দিয়া চলে যায়।

পুলিশ জানায়, এঘটনায় সিএনজি চালকদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা রুজু করা হয়। জিএমপি অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসান, এডিসি রবিউল ইসলামের দিক-নির্দেশনায় সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দ্বীন-ই-আলমের নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসানের নিরলস প্রচেষ্টায় সদর থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজ স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান পিপিএম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তাৎক্ষণিক স্বপন নামের এক চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চাঁদাবাজির সাথে জড়িতদের তথ্য সংগ্রহ করতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।