হোসেনপুরে ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা, কোটি টাকা পানির নিচে

- আপডেট সময় : ০১:১০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৬ বার পড়া হয়েছে
মাহফুজ রাজা,স্টাফ রিপোর্টার
এটা কোনো বন্যার পানি নয়,নয় কোন নদী বা খাল,তবে বৃষ্টির পানিতে এ যেন সাগর মহা সাগর।পানির নিচে তলিয়ে আছে স্থানীয়দের সুখ। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার উত্তর সুরাটি গ্রামে পানের বরজ,মাছের ফিশারী, পোল্ট্রিসহ বহু ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে যায় এবং ২০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। । বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও ঐ জমি থেকে নামছে না পানি।
ফলে কোটি টাকার পানের বরজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি প্রবাহের একমাত্র কালভার্ট মাটি দিয়ে ভরাট করায় পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে এতদঞ্চলের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের তথ্যমতে জানা যায়, জলাবদ্ধতায় চাষীদের ১০একর পানের বরজ জলবদ্ধতায় নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় চাষিদের এক কোটি টাকার পান নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও পানিতে ডুবে ১০একর ফিশারীর মাছ চলে গেছে। এতেও কৃষকরা ৩ কোটি টাকার ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। পানির জলাবদ্ধতায় ২০টা পরিবারে প্রায় অর্ধশত লোক গৃহবন্দী। কৃষকরা বলছেন, পানি পুরোপুরি টান দিলে পানের গাছগুলো মরে যাবে।
আর এতে বহু কৃষকের ক্ষতি হবে প্রায় কয়েক কোটি টাকা। পানি একটি কালভার্টের নিচ দিয়ে সরুভাবে অপসারণ হতো। গত তিন বছর ধরে ওই কালভার্টের পশ্চিম পাশে প্রভাবশালীরা তাদের জায়গা ভরাটের কারণে পানি নামার রাস্তাটি ভরাট হয়ে যায়। তারপর থেকেই এই সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা।জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য রতন মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
কিন্তু এখনো প্রতিকার হয়নি। তাই দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। অন্যথায় কৃষকরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিতে পড়বেন। কৃষক রতন মিয়া বলেন,বারবার বলা সত্ত্বেও প্রভাবশালী ও প্রশাসন নেয়নি কোন ব্যবস্থা। যার কারণে প্রতিবছরই আমরা এভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুনরুদ্ধার করে ফসলি জমিতে জমে থাকা পানি যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি করছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাজাহান কবির বলেন, জলাবদ্ধতা বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা জানান,উত্তর সুরাটি গ্রামের জলাবদ্ধার ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দিয়েছি। অচিরেই সমাধান হবে বলে আশস্থ করেছেন তিনি।