ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৫ মাছ ব্যবসায়ী নিহত ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৩২৮ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু গ্রেপ্তার ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের চূড়ান্ত প্যানেলে অন্য যারা আছেন মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র ত্রিশালে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সিকদার শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম

সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

প্রলয় ডেস্ক

সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইসড হাসপাতালে তিনি মারা যান। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি ফজলুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা আহমদ কবির ও মাতা সুনিয়া আরা বেগম। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে লিঙ্কনস ইন থেকে বার করেন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৭০ সালে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং ২০০১ সালের ১৫ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসাবে উন্নীত হন।

আরো পড়ুন-

তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইস্যুতে বিচার বিভাগীয় শিক্ষা’ বিষয়ক দিল্লিভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাডভাইজরি ফোরামের সদস্য। বিচার বিভাগীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আদালত প্রশাসন ও আদালত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের চেয়ারম্যান এবং মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরিকল্পনার সদস্য ছিলেন।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন

আপডেট সময় : ১২:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইসড হাসপাতালে তিনি মারা যান। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি ফজলুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা আহমদ কবির ও মাতা সুনিয়া আরা বেগম। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।

তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে লিঙ্কনস ইন থেকে বার করেন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৭০ সালে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং ২০০১ সালের ১৫ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসাবে উন্নীত হন।

আরো পড়ুন-

তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইস্যুতে বিচার বিভাগীয় শিক্ষা’ বিষয়ক দিল্লিভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাডভাইজরি ফোরামের সদস্য। বিচার বিভাগীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আদালত প্রশাসন ও আদালত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের চেয়ারম্যান এবং মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরিকল্পনার সদস্য ছিলেন।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।