ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরা-তুরাগ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

এদিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা। নিহতরা সবাই তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ী নেজাম) সাথী বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থিরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থিরা।

অন্যদিকে গাজীপুরে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থিদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুবায়েরপন্থিরা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করেন জুবায়েরপন্থিরা। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে।

এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব নেবে।

আরো পড়ুন-

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

দৈনিক প্রলয় এএএস

নিউজটি শেয়ার করুন

অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরা-তুরাগ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক 

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

এদিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা। নিহতরা সবাই তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ী নেজাম) সাথী বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থিরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থিরা।

অন্যদিকে গাজীপুরে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থিদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুবায়েরপন্থিরা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করেন জুবায়েরপন্থিরা। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়েছে।

এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব নেবে।

আরো পড়ুন-

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

দৈনিক প্রলয় এএএস