Categories: ফিচার

বরিশালে সবজির দাম কমলেও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

জামাল কাড়াল, বরিশাল

বরিশালে সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। এতে স্বস্তি ফিরছে ভোক্তাদের মাঝে। তবে হাতে-গোণা দুই-একটির দাম কমলেও বাজারে বেশিরভাগ মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই।

আজ মঙ্গলবার বরিশালের বিভিন্ন বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সারাদেশেই জেকে বসছে শীত। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও সাজিয়ে বসছেন সবজির পসরা।এতে কমতে শুরু করেছে দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। যার প্রভাবে দাম কমছে।

বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫ পর্যন্ত কমেছে শাক সবজির দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমে আসবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৫০-৬০ টাকায়।এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও।মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া, প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

প্রলয় ডেস্ক/আ

Recent Posts

ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‍‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান চান টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.…

11 hours ago

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিনেও নিহত ৫৬

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন। গাজা সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, এদিন…

1 day ago

টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

কয়েকটি বিভাগে টানা পাঁচদিন বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সংস্থাটির দেওয়া…

1 day ago

মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন

সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ…

1 day ago

১২ ঘণ্টার মধ্যেই পরিষ্কার করা হবে কুরবানির বর্জ্য: আসিফ মাহমুদ

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ…

1 day ago

ত্যাগের মহিমার ঈদুল আজহা আজ

সারা দেশের মুসলিম সম্প্রদায় আজ যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমায় উদযাপন করছে পবিত্র ঈদুল…

2 days ago

This website uses cookies.