বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ত্রিমহোনি নতুন বাজার পশুর হাটে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় হাটের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ইজারার লক্ষাধিক টাকা লুটপাট করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কোটি টাকা লেনদেনে মুক্তাগাছার ত্রিমহোনি নতুন বাজার পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ ওঠে পৌর প্রশাসন ও বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতার টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। তখন সর্বোচ্চ দাতা হিসেবে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৩ টাকায় হাট পাওয়া মেসার্স শাহীন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর শাহীন আলম ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন।
এরই জেরে বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে পশু কেনা-বেচার সময় স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের ১০-১৫ জন হামলা করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং হাট পরিচালনা না করার জন্য হুমকি দেন।
হাটের ইজারাদার তাওসিফ ইবনে মান্নান বলেন, গরু ছাগলের হাটটি বেশ কয়েক বছর ধরে পরিচালনা করে আসছি আমরা। এবার ১ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০টাকার প্রে-অর্ডার শিডিউলের সঙ্গে যুক্ত করেও জমা দিতে পারিনি। উপজেলা বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান লেবু, শহীদুল ইসলাম শহীদ, জাহাঙ্গীর আলম সোহেল, শাহীন আলম প্রভাব খাটিয়ে শিডিউল জমা দিতে দেয়নি।
পরে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে বিভাগীয় কমিশনার পুনরায় দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। এতে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে বুধবার দুপুরে নেতাকর্মী পাঠিয়ে হাটে হামলা করে আটটি বই ও ক্যাশ কাউন্টার থেকে লক্ষাধিক টাকা লুটে নিয়েছে। আমাদের হুমকি দিয়েছে হাট থেকে যেন চলে আসি।
তারা আমাদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে এসব করছে। আমরা মূলত ব্যবসায়ী সবার সঙ্গে মিলেমিশে ব্যবসা করতে চাই। তবে এ বিষয়ে শাহীন আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবুল বলেন, হাটে ১০-১৫ জন পোলাপান গিয়ে ঝামেলা করছিল পরে তাদের সিনিয়ররা গিয়ে চড়াইয়া থাপ্পড় মেরে নিয়ে আসছে। তবে টাকা ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা হাবিবুন্নবী খান সোহেল জানান বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, হাটে ছাত্রদল যুবদলের ১০-১৫ জন এসে ঝামেলা করছিল। তবে তারা টাকাপয়সা নেয়নি। এখন আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।