সংবাদ শিরোনাম ::
খুনি হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে- নীলফামারীতে সারজিস আলম

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৭:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারী: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘খুনি হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে। ওই খুনির বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে।
হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সরকার যেন দায়িত্ব হস্তান্তরের চিন্তা না করে। কারণ, বাংলাদেশের তরুণেরা যে স্বপ্নের জন্য রক্ত দিয়েছে, আমরা সেই সিস্টেমে সংস্কার দেখতে চাই। তাই সে কাঙ্খিত সংষ্কারের আগে কেউ যেন নির্বাচন নির্বাচনও না করে।
তিনি সোমবার (২৬ মে) সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত নীলফামারীর ৫ টি উপজেলায় সাংগঠনিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। সকালে ডোমার উপজেলা থেকে শুরু হয়ে সন্ধায় সৈয়দপুরে শেষ হয়। দিনব্যাপী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে ডিমলা উপজেলার ডাঙ্গারহাটে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম আরও বলেন, বর্তমান সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নয়, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক্রমেই তারা সরকারের অংশ হয়েছে। তাই নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে কোনো অপ্রাসঙ্গিক বা অযৌক্তিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু দ্রুত নির্বাচন নয়, প্রয়োজন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন। এজন্য বিচার ও সংস্কারসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।’
সাবেক এমপিদের মনোনয়ন বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি আগের এমপিরা টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনতেন। জনগণের কথা ভাবার পরিবর্তে দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে নির্বাচিত হয়ে নেতা তোষণে ব্যস্ত থাকতেন। নির্বাচনের আগে ৫০০-১০০০ টাকা দিয়ে ভোট কিনতেন, পরে জনগণের পকেট থেকেই হাজার হাজার টাকা নিতেন।’
তিনি আহ্বান জানান, ‘আগামী নির্বাচনে দল নয়, ভালো মানুষকে বেছে নিন। যিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন, তিনিই প্রকৃত প্রতিনিধি। তিনি যে দলেরই হোন না কেন, এমনকি মার্কা না থাকলেও।’
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। নাহলে একসময় তারাই আপনাদের শ্বাসরোধ করবে। অটো, ট্রাক, পিকআপ সব জায়গা থেকেই চাঁদাবাজি চলছে। এরা যে দলেরই হোক, সময় এসেছে প্রতিহত করার।’
তিনি আরও বলেন, ‘নীলফামারীতে একসময় জেলায় চাঁদাবাজি সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলায়। এই সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, নয়তো তারাই আপনাদের জিম্মি করে ফেলবে।’
টানা বৃষ্টির মধ্যেও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় সারজিস আলমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, আবু সাঈদ লিওন, সাদিয়া ফারজানা দিনা এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব।
প্রলয়/তাসনিম তুবা