ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না: আমিনুল

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ-বিদেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি যখন ক্ষমতা ছাড়ার কথা ভাবছেন, সেটি সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এরপর রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্ব কে নেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে আগামী ২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘তারুণ্যের মহাসমাবেশ’ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, ‘জনগণের ওপর বিএনপি সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমরা সব কার্যক্রম জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিচালনা করতে চাই। জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা আগামীর স্বপ্নের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কিছু উপদেষ্টা দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করছে। তারা সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে এবং নিজেদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। এসব দুর্নীতি এখন জনগণের কাছে প্রকাশ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, ‘স্বৈরাচার মুক্তির পর আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচারের কথা বলে বারবার অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে। বাস্তবে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ কখনোই এসব অজুহাত মেনে নেবে না।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাসেও অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরাই বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশ ও এর জনগণ কোনো বিতর্কের শিকার হোক। তাই আমরা এই সরকারকে আহ্বান জানাই—দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।’

তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব তুলে ধরে আমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটিরও বেশি তরুণ ভোটার রয়েছে। গত ১৫ বছর স্বৈরাচারী ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের কারণে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ৫ আগস্টের পর যারা নতুন করে ভোটার হয়েছেন, তারা নতুনভাবে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আমরা সেই স্বপ্নের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তরুণদের ভাবনা ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

সভায় মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহ আলম, মাহবুব আলম মন্টু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শফিকুল ইসলাম শাহিন, রেজাউর রহমান ফাহিম, মো. নজরুল ইসলাম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, হুমায়ুন কবির রওশন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজ্জামান জাহান, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামীম পারভেজ, সালাম সরকার, মনিরুল আলম রাহিমী, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন, মো. আলী, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, রফিকুল ইসলাম খান, এ এস এম খালেদ, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

প্রলয়/তাসনিম তুবা 

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না: আমিনুল

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ-বিদেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি যখন ক্ষমতা ছাড়ার কথা ভাবছেন, সেটি সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে এরপর রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্ব কে নেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে আগামী ২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘তারুণ্যের মহাসমাবেশ’ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, ‘জনগণের ওপর বিএনপি সম্পূর্ণভাবে আস্থাশীল। আমরা সব কার্যক্রম জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরিচালনা করতে চাই। জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা আগামীর স্বপ্নের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কিছু উপদেষ্টা দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করছে। তারা সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছে এবং নিজেদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তুলছে। এসব দুর্নীতি এখন জনগণের কাছে প্রকাশ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, ‘স্বৈরাচার মুক্তির পর আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচারের কথা বলে বারবার অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে। বাস্তবে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ কখনোই এসব অজুহাত মেনে নেবে না।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাসেও অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরাই বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশ ও এর জনগণ কোনো বিতর্কের শিকার হোক। তাই আমরা এই সরকারকে আহ্বান জানাই—দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।’

তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব তুলে ধরে আমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটিরও বেশি তরুণ ভোটার রয়েছে। গত ১৫ বছর স্বৈরাচারী ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের কারণে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ৫ আগস্টের পর যারা নতুন করে ভোটার হয়েছেন, তারা নতুনভাবে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আমরা সেই স্বপ্নের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তরুণদের ভাবনা ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

সভায় মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তফা জামান সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহ আলম, মাহবুব আলম মন্টু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শফিকুল ইসলাম শাহিন, রেজাউর রহমান ফাহিম, মো. নজরুল ইসলাম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, হুমায়ুন কবির রওশন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজ্জামান জাহান, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামীম পারভেজ, সালাম সরকার, মনিরুল আলম রাহিমী, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন, মো. আলী, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, রফিকুল ইসলাম খান, এ এস এম খালেদ, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

প্রলয়/তাসনিম তুবা