ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সিম্পসন গাজাবাসীদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তুতি না ফেরার দেশে কারা সহকারী মহাপরিদর্শক আবু তালেব সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানি অক্টোবরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

ত্রিশালে স্মার্ট কার্ড পাননি তিন সাংবাদিক, বিষয়টি কাকতালীয়? না অন্যকিছু?

মোমিন তালুকদার
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / ২১০ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। উপজেলার প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হলেও তিনজন পেশাদার সাংবাদিক এখনও পর্যন্ত তাদের কাঙ্ক্ষিত কার্ড পাননি। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—এটি নিছক ভুল, নাকি কোনো পূর্বনির্ধারিত অবহেলার বহিঃপ্রকাশ?

স্মার্ট কার্ড না পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন, দৈনিক আজকের পত্রিকার সাইফুল আলম তুহিন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ফারুক আহমেদ ও (অনলাইন) ‌দিগন্ত বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ের তিনটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তারা জানান, প্রায় এক বছর আগে নির্ধারিত কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। দশ আঙুলের ছাপ, রেটিনা স্ক্যানসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তাদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, একই এলাকার প্রায় সবাই ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়েছেন। এতে করে প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র সাংবাদিক হওয়ার কারণেই কি তাদের সঙ্গে এমনটি করা হলো?

ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, “একসাথে তিনজন সাংবাদিকের স্মার্ট কার্ড না পাওয়া কোনোভাবেই কাকতালীয় হতে পারে না। বিভিন্ন সময় আমাদের সাংবাদিকতার কারণে কারও কারও গাত্রদাহ হতে পারে। এর প্রতিফলন হিসেবেই হয়তো এমনটা হচ্ছে।”

আরেকজন বলেন, “বারবার যোগাযোগ করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের তথ্য ঠিক থাকলেও কার্ড দেওয়া হয়নি কেন, তার কোনো সদুত্তর আমরা পাইনি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে হয়েছে। যারা এখনো পাননি, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।”

তবে সাংবাদিকদের দাবি, বারবার ‘ত্রুটির’ অজুহাত দিয়ে দীর্ঘসূত্রতা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ত্রিশালে স্মার্ট কার্ড পাননি তিন সাংবাদিক, বিষয়টি কাকতালীয়? না অন্যকিছু?

আপডেট সময় : ১০:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। উপজেলার প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হলেও তিনজন পেশাদার সাংবাদিক এখনও পর্যন্ত তাদের কাঙ্ক্ষিত কার্ড পাননি। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—এটি নিছক ভুল, নাকি কোনো পূর্বনির্ধারিত অবহেলার বহিঃপ্রকাশ?

স্মার্ট কার্ড না পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন, দৈনিক আজকের পত্রিকার সাইফুল আলম তুহিন, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ফারুক আহমেদ ও (অনলাইন) ‌দিগন্ত বার্তার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ের তিনটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তারা জানান, প্রায় এক বছর আগে নির্ধারিত কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। দশ আঙুলের ছাপ, রেটিনা স্ক্যানসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তাদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, একই এলাকার প্রায় সবাই ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়েছেন। এতে করে প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র সাংবাদিক হওয়ার কারণেই কি তাদের সঙ্গে এমনটি করা হলো?

ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, “একসাথে তিনজন সাংবাদিকের স্মার্ট কার্ড না পাওয়া কোনোভাবেই কাকতালীয় হতে পারে না। বিভিন্ন সময় আমাদের সাংবাদিকতার কারণে কারও কারও গাত্রদাহ হতে পারে। এর প্রতিফলন হিসেবেই হয়তো এমনটা হচ্ছে।”

আরেকজন বলেন, “বারবার যোগাযোগ করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের তথ্য ঠিক থাকলেও কার্ড দেওয়া হয়নি কেন, তার কোনো সদুত্তর আমরা পাইনি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এটি প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে হয়েছে। যারা এখনো পাননি, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।”

তবে সাংবাদিকদের দাবি, বারবার ‘ত্রুটির’ অজুহাত দিয়ে দীর্ঘসূত্রতা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করছেন তারা।