দুই কমিশনারসহ দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

- আপডেট সময় : ০৪:২১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ১২০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মইনুউদ্দীন আব্দুল্লাহ ও কমিশনার আছিয়া খাতুন এবং কমিশনার জহুরুল হক পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগ পত্রটি দুদক সচিবের কাছে জমা দিয়ে তারা কার্যালয় ত্যাগ করেন।
দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও দুই কমিশনার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেছি। পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’
কেন পদত্যাগ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। পরে কথা বলবো।’ এরপরই ফোন কেটে দেন তিনি।দুপুর ২টা ২০মিনিটে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পুরো কমিশন অফিস ত্যাগ করে।
৩ অক্টোবর দুদক সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন ৩ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে আসার কথা ছিল দুদক সংস্কার কমিশনের। এর মাঝেই পদত্যাগ করেন তারা।
আরও পড়ুন
সরকারের কোনো ভুল হলে আপনারা প্রকাশ করে দেন: গণমাধ্যমকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন আজ-কালের মধ্যেই
২০২১ সালের ১০ মার্চ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদকে চেয়ারম্যান পদে এবং জহুরুল হক কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। এর আগে একই বছরের ৩ মার্চ তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আছিয়া খাতুন সংস্থাটির কমিশনার হিসেবে যোগ দেন ২০২৩ সালের ২ জুলাই। তাকে নিয়োগ দিয়ে ওই বছরের ১৩ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে, সংস্কার কমিশনের সঙ্গে দুদকের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকটি হবে না বলে জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
বাকি দুই কমিশনারদের মধ্যে জহুরুল হক ছিলেন সাবেক জজ। এছাড়া আছিয়া খাতুন ছিলেন সাবেক সচিব। এই কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দুদক পরিচালনা করেছেন। যেখানে রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে সরকারের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।