ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ৪৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টার পর তাকে পুলিশ পাহারায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হবে এবং ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করবেন প্রসিকিউশন পক্ষ।

প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জুলাই গণহত্যার আসামি সাবেক অ্যাডিশনাল এসপি (সাভার সার্কেল) শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তাকে ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। শাহবাগ থানা পুলিশ সকালে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসে।

এর আগে ২৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন

ডিসি নিয়োগে ঘুষ, অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

৫ আগস্টের আগে-পরে কোনো হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তির সুযোগ নেই : ভলকার তুর্ক

কচুক্ষেতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সেনা-পুলিশের গাড়িতে আগুন

এরপর গত ৩০ অক্টোবর মিরপুর জোনের সাবে ডিসি মো. জসিম উদ্দীন মোল্লাকে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ফলে এই প্রথম জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে কাউকে ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেফতার দেখানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬নং আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্য ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক) শহীদুল ইসলাম

নিউজটি শেয়ার করুন

৪৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল

আপডেট সময় : ১২:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ৪৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টার পর তাকে পুলিশ পাহারায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হবে এবং ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করবেন প্রসিকিউশন পক্ষ।

প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জুলাই গণহত্যার আসামি সাবেক অ্যাডিশনাল এসপি (সাভার সার্কেল) শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তাকে ঢাকার বাইরে থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয়। শাহবাগ থানা পুলিশ সকালে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসে।

এর আগে ২৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৭ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন

ডিসি নিয়োগে ঘুষ, অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

৫ আগস্টের আগে-পরে কোনো হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তির সুযোগ নেই : ভলকার তুর্ক

কচুক্ষেতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সেনা-পুলিশের গাড়িতে আগুন

এরপর গত ৩০ অক্টোবর মিরপুর জোনের সাবে ডিসি মো. জসিম উদ্দীন মোল্লাকে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ফলে এই প্রথম জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে কাউকে ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেফতার দেখানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নং আসামিরা নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬নং আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্য ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলেন। থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের লাশ পুড়িয়ে দিয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাবেক) শহীদুল ইসলাম