ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে শর্ট সার্কিট, ভালুকায় কারখানায় অগ্নিকাণ্ড সদরপুরে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন গফরগাঁও এ ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার: আশফাক নিপুন জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধে আইনি নোটিশ ঈদের আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে যা বললেন মাউশি ডিজি এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা হাসিনার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক ইজারাদারের কাছে নজরুল জন্মজয়ন্তী’র বরাদ্দ হস্তান্তর করলেন ত্রিশালের ইউএনও

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবি নূরের

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতা জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগকে গণহত্যায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ভিপি নূর বলেন, বিগত ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে দলটি। এ কারণে ভবিষ্যৎ নির্বাচনগুলোতেও তাদের ভোটের বাইরে রাখা উচিত।

বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে জাতীয় ঐকমত্য চাওয়া হয়েছে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে। সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠক শেষে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সাংবাদিকদের সামনে এমন কথা জানান।

আরো পড়ুন– প্রধান উপদেষ্টাকে কাজের অগ্রগতি জানালেন কমিশনপ্রধানরা

 সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত তিন মাসেও আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে গণহত্যায় জড়িত তিন হাজার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গণ-অভ্যুত্থানের একক কৃতিত্ব বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নয় জানিয়ে নুরুল হক বলেন, “অভ্যুত্থান এত সহজ ছিল না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ওপর গত এক দশকে যে নির্যাতন হয়েছে, সেখানে বিএনপি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি অবৈধ হন, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারও অবৈধ হয়ে পড়বে। তাই রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোনো রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না করে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা উচিত। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এবং মেয়াদকাল নিয়ে একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করা জরুরি। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারকে দূরত্ব কমিয়ে আনার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, এবং বরকতউল্লা বুলু উপস্থিত ছিলেন। গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে নুরুল হক, রাশেদ খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, এবং ফাতেমা তাসনীমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

দৈনিক প্রলয়/ এম এ আর

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবি নূরের

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতা জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগকে গণহত্যায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ভিপি নূর বলেন, বিগত ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে দলটি। এ কারণে ভবিষ্যৎ নির্বাচনগুলোতেও তাদের ভোটের বাইরে রাখা উচিত।

বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে জাতীয় ঐকমত্য চাওয়া হয়েছে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে। সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠক শেষে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সাংবাদিকদের সামনে এমন কথা জানান।

আরো পড়ুন– প্রধান উপদেষ্টাকে কাজের অগ্রগতি জানালেন কমিশনপ্রধানরা

 সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত তিন মাসেও আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে গণহত্যায় জড়িত তিন হাজার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গণ-অভ্যুত্থানের একক কৃতিত্ব বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নয় জানিয়ে নুরুল হক বলেন, “অভ্যুত্থান এত সহজ ছিল না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ওপর গত এক দশকে যে নির্যাতন হয়েছে, সেখানে বিএনপি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, যদি রাষ্ট্রপতি অবৈধ হন, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারও অবৈধ হয়ে পড়বে। তাই রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোনো রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি না করে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা উচিত। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এবং মেয়াদকাল নিয়ে একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করা জরুরি। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারকে দূরত্ব কমিয়ে আনার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, এবং বরকতউল্লা বুলু উপস্থিত ছিলেন। গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে নুরুল হক, রাশেদ খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, এবং ফাতেমা তাসনীমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

দৈনিক প্রলয়/ এম এ আর