কিভাবে এক এলাকায় ৩৬ ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হলো: পরিবেশ উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ৬৩ বার পড়া হয়েছে
প্রলয় ডেস্ক:
এক এলাকায় ৩৬ ইটভাটার ছাড়পত্র কিভাবে দেওয়া হলো,পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে সেটির জবাব চেয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার বাইরে নোয়াখালীর রামগতিতে একটি এলাকাতেই ৩৬টি ইটভাটা। কী করে তারা ছাড়পত্র পেল? কী করে তারা এতদিন পরিচালিত হলো ? সেটা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জবাব দিতে হবে।
মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২০২৪-২০৩০ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ রক্ষায় কোনো দ্রুত সমাধান নেই উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘কিছু কিছু কাজ আমরা শুরু করতে পারি। আপনারা জানেন, নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমতি দিচ্ছি না। জিকজ্যাক ইটভাটাগুলোর জন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, তারা কমপ্লায়েন্স করছে কি না, সেটা দেখভাল করার কাজ শুরু করেছি।
আরো পড়ুন–
- ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ৮ গোপন আটককেন্দ্রের খোঁজ পেয়েছে গুম তদন্ত কমিশন
- গুম কমিশনে ১৬শ অভিযোগ
- বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠন
- মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবী
তিনি বলেন, এই এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের বাস্তবায়ন যদি ৫-৭ বছরের মধ্যে নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমরা ঢাকাকে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের নগরীর অপবাদ থেকে বের করে আনতে পারব এবং জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারব। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিজস্ব জনবল দিয়ে কমিটি করতে হবে। অন্যের কমিটিতে ঢুকে তাদের সঙ্গে মিশে গেলে হবে না। প্রমাণ ছাড়া কথা বলা যায় না। মাতারবাড়ীসহ অন্যান্য প্রকল্পে কী মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করছে তার প্রতিবেদন চাই। প্রতিবেদন জনগণের সামনে প্রকাশ করতে চাই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
দৈনিক প্রলয়/এম এ আর