বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া হবে না। আমি নিজেও এ ব্যাপারে সতর্ক আছি।’
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালির জন্য এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের এই মিছিল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতাকে জানায় আন্তরিক অভিনন্দন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু- মিত্র চেনার দিন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না ইনশাল্লাহ। এই মিছিল ৭ নভেম্বরের শক্তিকে অন্তর্নিহিত করার শক্তি। আজকের এই মিছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল। আজকের এই মিছিল কারও বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের অধিকার রক্ষার মিছিল। ভোট প্রয়োগ করার অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা না গেলে মানুষ সুফল পাবে না। এমনকি বাজার সিন্ডিকেটও ভাঙা যাবে না; যদি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা না যায়।’
জনগণকে বিশেষভাবে সতর্ক দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই। নিজেও সতর্ক থাকতে চাই। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে দেশে-বিদেশে-প্রশাসনে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সক্রিয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে বর্থ্য হতে দেওয়া যাবে না। জনতার এই মিছিলকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।’
এর পর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাচ্ছে। র্যালিতে যোগ দিতে সকাল থেকে দলের নেতকর্মীরা রাজধানীতে আসতে শুরু করেন। এতে করে ঢাকার রাজপথ বিশেষ করে নয়াপল্টন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এ সময় অস্থায়ী মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর মির্জা ফখরুলসহ মঞ্চে থাকা নেতারা তাকে সালাম দেন। এরপর র্যালি শুরু হয়।