ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

আইনজীবী হত্যায় আরেকজন গ্রেপ্তার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৭ বার পড়া হয়েছে

প্রলয় ডেস্ক

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি’ যুক্ত আরেকজনকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিপন দাশ (২৭) কোতয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার হরিশ চন্দ্র লেইনের মৃদুল দাসের ছেলে। তিনি নগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তারেক আজিজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই যুবক আইনজীবী হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজে নীল গেঞ্জি পরিহিত রিপনকে বটি হাতে দেখা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি পুলিশ। আইনজীবী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নগর পুলিশের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া রিপন আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের দিনে হাতে বটি ছাড়াও নিল গেঞ্জি, হেলমেট, জিন্স প্যান্ট পরিহিত ছিলেন।

এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে ভৈরব থেকে চন্দন দাস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে যে ব্যক্তি কিরিচ হাতে অংশ নিয়েছিলেন তিনিই চন্দন। এর আগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিল পুলিশ।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়। আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনজীবী হত্যায় আরেকজন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি’ যুক্ত আরেকজনকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রিপন দাশ (২৭) কোতয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার হরিশ চন্দ্র লেইনের মৃদুল দাসের ছেলে। তিনি নগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) তারেক আজিজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই যুবক আইনজীবী হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজে নীল গেঞ্জি পরিহিত রিপনকে বটি হাতে দেখা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি পুলিশ। আইনজীবী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

নগর পুলিশের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া রিপন আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের দিনে হাতে বটি ছাড়াও নিল গেঞ্জি, হেলমেট, জিন্স প্যান্ট পরিহিত ছিলেন।

এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে ভৈরব থেকে চন্দন দাস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে যে ব্যক্তি কিরিচ হাতে অংশ নিয়েছিলেন তিনিই চন্দন। এর আগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিল পুলিশ।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়। আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।