সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক

- আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫০ বার পড়া হয়েছে
ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভেজালবিরোধী ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আলোচনায় আসা মো. সারোয়ার আলম নতুন দায়িত্ব পেলেন সিলেটে। তাকে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের এই কর্মকর্তাকে জনস্বার্থে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সারোয়ার আলম র্যাবে দায়িত্ব পালনকালে তিন শতাধিক ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান, করোনা মহামারির সময় ভুয়া টেস্ট প্রতিরোধে অভিযান এবং সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত হন। ওই অভিযানে মাদক, অস্ত্র ও অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধার হয়। পরে হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে তিনি দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন।
তবে কর্মজীবনে নানা বিতর্কও পিছু নেয় তাকে। একাধিকবার পদোন্নতিতে বঞ্চিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তিনি উপসচিব পদে উন্নীত হন। তার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছিলেন, “চাকরি জীবনে যারা অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই বঞ্চিত হয়েছেন। এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার নামই অন্যায়।” জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ পোস্টকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে তাকে তিরস্কার করেছিল।
১৯৮৩ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ইসমাইল মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন সারোয়ার আলম। ১৯৯৩ সালে পাকুন্দিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের সানজিদা শারমিন লিন্ডার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চার কন্যা রয়েছে— মাহরিন সামারা, নাজিফা সাফরিন, তানহা ও মানহা।
নতুন নিয়োগের আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এবার তিনি সিলেট জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্বে যোগ দিচ্ছেন।