ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

আহসান হাবিব, পঞ্চগড়

শৈত্যপ্রবাহে কবলে উত্তরের হিমকন্যা পঞ্চগড়। কনকনে শীতের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলার। শীত দূর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সীমান্ত জেলার মানুষ।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

স্থানীয়রা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। হাড়কাঁপছে কনকনে শীতে। কয়েকদিন ঘন কুয়াশার পর শুক্রবার ভোর থেকেই দেখা মেলেছে সূর্য। তবে শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাচল করছে । রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। কয়েকদিন পর শুক্রবার ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা গেছে সূর্য। এ কয়েকদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল দিনভর।

এদিকে, তীব্রশীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের মানুষ। শীতের কারণে অনেকের কমে গেছে আয় রোজগার। এতে করে বেড়েছে দূর্ভোগ। অনেকে জীবিকার তাগিদে সকালেই নদীর বরফগলা পানিতে নেমে যাচ্ছেন পাথর তুলতে। চা বাগানে কাজ করতে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। পাথরের সাইটে কাজে যেতে দেখা যায় নারী-পুরুষ শ্রমিকদের। তারা জানাচ্ছেন, শীতের কারণে কাজে যেতে না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করেই তীব্র শীতের মধ্যে কাজে বেড়িয়েছেন তারা।

শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন ছোটখাটো যানবাহনগুলোর মধ্যে ভ্যান চালকরাও। ভ্যান চালক সায়েদ আলী ও মহির উদ্দিন জানান, ভাই খুব ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। তাই আগের থেকে ইনকাম কমে গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কিংবা সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’

এদিকে, শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ছুটছেন হাসপাতালে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

আপডেট সময় : ০৩:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আহসান হাবিব, পঞ্চগড়

শৈত্যপ্রবাহে কবলে উত্তরের হিমকন্যা পঞ্চগড়। কনকনে শীতের তীব্রতায় নাকাল হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলার। শীত দূর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সীমান্ত জেলার মানুষ।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

স্থানীয়রা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। হাড়কাঁপছে কনকনে শীতে। কয়েকদিন ঘন কুয়াশার পর শুক্রবার ভোর থেকেই দেখা মেলেছে সূর্য। তবে শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাচল করছে । রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। কয়েকদিন পর শুক্রবার ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা গেছে সূর্য। এ কয়েকদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল দিনভর।

এদিকে, তীব্রশীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ আয়ের মানুষ। শীতের কারণে অনেকের কমে গেছে আয় রোজগার। এতে করে বেড়েছে দূর্ভোগ। অনেকে জীবিকার তাগিদে সকালেই নদীর বরফগলা পানিতে নেমে যাচ্ছেন পাথর তুলতে। চা বাগানে কাজ করতে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। পাথরের সাইটে কাজে যেতে দেখা যায় নারী-পুরুষ শ্রমিকদের। তারা জানাচ্ছেন, শীতের কারণে কাজে যেতে না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করেই তীব্র শীতের মধ্যে কাজে বেড়িয়েছেন তারা।

শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন ছোটখাটো যানবাহনগুলোর মধ্যে ভ্যান চালকরাও। ভ্যান চালক সায়েদ আলী ও মহির উদ্দিন জানান, ভাই খুব ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। তাই আগের থেকে ইনকাম কমে গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কিংবা সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’

এদিকে, শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ছুটছেন হাসপাতালে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।