ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েতে নানা আয়োজনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১৮ বার পড়া হয়েছে

বিলাল উদ্দিন, কুয়েত।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪। কুয়েতস্থ হোটেল মিলেনিয়ামের আল-তাজ বলরুমে বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের উদ্যোগে।অনুষ্ঠানে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ন্যাশনাল মিলিটারী সার্ভিস এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল আহমাদ রাশেদ আল-শানফা, কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কুয়েতের কূটনৈতিক সিভিল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ, কুয়েতে প্রবাসী বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স অ্যাটাশেবৃন্দ, কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

কুয়েতে বাংলাদেশের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য গেস্ট অব অনার মেজর জেনারেল আহমাদ রাশেদ আল-শানফা কে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি সকল সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাঁদের কাছে তুলে ধরেন যে – “২১শে নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ শুধুমাত্র বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সাধারন জনগণের কাছেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দিবসটি সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য সহযোদ্ধাদের পারস্পরিক আস্থা, ঐক্য এবং সশস্ত্রবাহিনীর সমন্বিত যৌথ-কর্মকান্ডের গুরুত্ব সম্পর্কিত বিশেষ বার্তা বহন করে। তিনি আরো বলেন, “এই বিশেষ দিবসে আমরা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। দিবসটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদেরকে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তাদের দীপ্ত শপথকে নবায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করে”। তিনি গর্বের সাথে উল্লেখ করেন যে “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় গৌরব, বিশ্বস্ততা ও আস্থার প্রতীক। জাতি গঠন কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সশস্ত্রবাহিনীর অবদান বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করে।

আরো পড়ুন-

কুয়েতস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে, “বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ও মনে কুয়েতের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে”। রাষ্ট্রদূত দুইদেশের মধ্যে বিদ্যমান সু-সম্পর্কের জন্য এবং কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য কুয়েতের মহামহীম আমির শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং তাঁর সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর সৈনিক এবং সাধারণ জনগণের সীমাহীন আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান ব্যক্ত করেন।তিনি কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

দৈনিক প্রলয় এএএস

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েতে নানা আয়োজনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

আপডেট সময় : ০৩:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বিলাল উদ্দিন, কুয়েত।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪। কুয়েতস্থ হোটেল মিলেনিয়ামের আল-তাজ বলরুমে বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের উদ্যোগে।অনুষ্ঠানে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ন্যাশনাল মিলিটারী সার্ভিস এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল আহমাদ রাশেদ আল-শানফা, কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কুয়েতের কূটনৈতিক সিভিল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ, কুয়েতে প্রবাসী বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স অ্যাটাশেবৃন্দ, কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

কুয়েতে বাংলাদেশের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিবুল করিম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য গেস্ট অব অনার মেজর জেনারেল আহমাদ রাশেদ আল-শানফা কে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি সকল সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাঁদের কাছে তুলে ধরেন যে – “২১শে নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ শুধুমাত্র বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সাধারন জনগণের কাছেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দিবসটি সম্মিলিতভাবে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য সহযোদ্ধাদের পারস্পরিক আস্থা, ঐক্য এবং সশস্ত্রবাহিনীর সমন্বিত যৌথ-কর্মকান্ডের গুরুত্ব সম্পর্কিত বিশেষ বার্তা বহন করে। তিনি আরো বলেন, “এই বিশেষ দিবসে আমরা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। দিবসটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদেরকে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তাদের দীপ্ত শপথকে নবায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করে”। তিনি গর্বের সাথে উল্লেখ করেন যে “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় গৌরব, বিশ্বস্ততা ও আস্থার প্রতীক। জাতি গঠন কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সশস্ত্রবাহিনীর অবদান বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করে।

আরো পড়ুন-

কুয়েতস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে, “বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে ও মনে কুয়েতের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে”। রাষ্ট্রদূত দুইদেশের মধ্যে বিদ্যমান সু-সম্পর্কের জন্য এবং কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য কুয়েতের মহামহীম আমির শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং তাঁর সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর সৈনিক এবং সাধারণ জনগণের সীমাহীন আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান ব্যক্ত করেন।তিনি কুয়েত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

দৈনিক প্রলয় এএএস