ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

টাঙ্গাইলে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

আমিনুল ইসলাম,টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তার পাশে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক পরিবার।উপজেলার নিকরাইল, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন গুলোর স্থানীয় বাজার গুলোতে মাছ, মাংস শাক সবজীর পাশাপাশি দেখা মিলছে গৃহপালিত পশুর খাবার বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ঘাস বিক্রির দৃশ্য। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাজার গুলোতে দেখা মিলে এই সব ঘাসের। প্রতিদিন কৃষকের যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে নিয়ে বাজারে আসে এর পর তারা ঘাস গুলোকে আঁটি বদ্ধ অবস্থায় সাজিয়ে রাখে।প্রতিটি আঁটি কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। কৃষকরা পাইকারি এবং খুচরা দুইভাবে এই ঘাস গুলো বিক্রি করে থাকে।

ঘাস বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায়, বাজারে ঘাস বিক্রি করতে আসা ৮০ শতাংশ লোকই হচ্ছে কৃষক। যারা মূলত নিজেদের গৃহপালিত পশু খাদ্য চাহিদা মেটাতে যমুনা নদীর বিভিন্ন চর অঞ্চল থেকে এই কাঁচা ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে এবং অবশিষ্ট ঘাস তারা বাজারে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু যখন দেখলাম এই কাঁচা ঘাস বাজারে বিক্রি করা যায় এবং বাজারে এর চাহিদা রয়েছে তখন থেকে আমার নিয়মিত এই ঘাস বিক্রি শুরু করি, তারা আরো বলেন এই ঘাস গুলো আমরা ক্রয় করে এনে বিক্রি করি না,এবং এই ঘাস গুলো আমরা চাষ ও করি না। তাই অনেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিচ্ছে এই পেশা। এতে করে তারা দিন দিন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রথমে কয়েক জন কৃষক ঘাস বিক্রি করলেও এখন অনেকে যুক্ত হচ্ছে এই পেশায়।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায়, যে প্রথম দিকে এই অঞ্চলে গরুর খামারের সংখ্যা অনেক কম ছিলো, কিন্তু এখন গরুর খামারে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন এই কাঁচা ঘাসের চাহিদা অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে তাই তারা নিজেদের গরুর খামারে চাহিদা মেটাতে এই বাজারে আসে ঘাস ক্র‍য় করতে , তারা আরো বলেন যে এই বাজার গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে কাঁচা ঘাসের আমদানি থাকে। এছাড়া গরুর খামারিরা আরো বলছে এই কাঁচা ঘাস গরুকে খাওয়ানোর ফলে গরুর দুধ এর পরিমাণ অনেক গুন বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গরুর স্বাস্থ্য ও অনেক ভালো থাকে তাই দিন দিন এই কাঁচা ঘাস এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ সুকুমার চন্দ্র বলেন, এই অঞ্চলে যমুনার বুকে যে কাঁচা ঘাস গুলো পাওয়া যায় সেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায় এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীকে খাওয়ানো হলে এদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তবে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, এই সকল প্রাণী গুলোকে প্রতি তিন মাস অন্তর যেনো কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। কারণ এই প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পায়, এতে করে পরজীবী সংক্রমণ থাকতে পারে। তাই গৃহপালিত প্রাণীকে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আমিনুল ইসলাম,টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে রাস্তার পাশে ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক পরিবার।উপজেলার নিকরাইল, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন গুলোর স্থানীয় বাজার গুলোতে মাছ, মাংস শাক সবজীর পাশাপাশি দেখা মিলছে গৃহপালিত পশুর খাবার বিভিন্ন ধরনের কাঁচা ঘাস বিক্রির দৃশ্য। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাজার গুলোতে দেখা মিলে এই সব ঘাসের। প্রতিদিন কৃষকের যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে নিয়ে বাজারে আসে এর পর তারা ঘাস গুলোকে আঁটি বদ্ধ অবস্থায় সাজিয়ে রাখে।প্রতিটি আঁটি কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। কৃষকরা পাইকারি এবং খুচরা দুইভাবে এই ঘাস গুলো বিক্রি করে থাকে।

ঘাস বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায়, বাজারে ঘাস বিক্রি করতে আসা ৮০ শতাংশ লোকই হচ্ছে কৃষক। যারা মূলত নিজেদের গৃহপালিত পশু খাদ্য চাহিদা মেটাতে যমুনা নদীর বিভিন্ন চর অঞ্চল থেকে এই কাঁচা ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে এবং অবশিষ্ট ঘাস তারা বাজারে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু যখন দেখলাম এই কাঁচা ঘাস বাজারে বিক্রি করা যায় এবং বাজারে এর চাহিদা রয়েছে তখন থেকে আমার নিয়মিত এই ঘাস বিক্রি শুরু করি, তারা আরো বলেন এই ঘাস গুলো আমরা ক্রয় করে এনে বিক্রি করি না,এবং এই ঘাস গুলো আমরা চাষ ও করি না। তাই অনেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিচ্ছে এই পেশা। এতে করে তারা দিন দিন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রথমে কয়েক জন কৃষক ঘাস বিক্রি করলেও এখন অনেকে যুক্ত হচ্ছে এই পেশায়।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে যেটি জানা যায়, যে প্রথম দিকে এই অঞ্চলে গরুর খামারের সংখ্যা অনেক কম ছিলো, কিন্তু এখন গরুর খামারে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন এই কাঁচা ঘাসের চাহিদা অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে তাই তারা নিজেদের গরুর খামারে চাহিদা মেটাতে এই বাজারে আসে ঘাস ক্র‍য় করতে , তারা আরো বলেন যে এই বাজার গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে কাঁচা ঘাসের আমদানি থাকে। এছাড়া গরুর খামারিরা আরো বলছে এই কাঁচা ঘাস গরুকে খাওয়ানোর ফলে গরুর দুধ এর পরিমাণ অনেক গুন বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গরুর স্বাস্থ্য ও অনেক ভালো থাকে তাই দিন দিন এই কাঁচা ঘাস এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ সুকুমার চন্দ্র বলেন, এই অঞ্চলে যমুনার বুকে যে কাঁচা ঘাস গুলো পাওয়া যায় সেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায় এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীকে খাওয়ানো হলে এদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তবে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, এই সকল প্রাণী গুলোকে প্রতি তিন মাস অন্তর যেনো কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। কারণ এই প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পায়, এতে করে পরজীবী সংক্রমণ থাকতে পারে। তাই গৃহপালিত প্রাণীকে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।