ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

আমতলীতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ : ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রকৌশলী

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৮ বার পড়া হয়েছে

আমতলী সংবাদদাতা

আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসির ৪ হাজার ৩’শ মিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ও শাহীন তালুকদার এ নিম্নমানের কাজ করছেন। উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জেনেও ঠিকাদারের এ নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। স্থানীয়দের দাবী এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসি সড়কের চার হাজার তিন’শ মিটার সড়ক। এ সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে তিন কোটি চার লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই কাজের টেন্ডার হয়। বরেন্দ্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায়। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার গত বছর জুন মাসে ওই সড়কের কিছু অংশের কাজের মেগাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ করেননি।

গত ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া ও পাথর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দেও আরো অভিযোগ ঠিকাদার শাহীন তালুকদার ও শহীদুল ইসলাম মৃধা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন। ঠিকাদারগণ দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি।এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জানালেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ওই কাজের এক কিস্তির বিল ছেড়ে দিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন।

স্থানীয় বাচ্চু মিয়া ও কামাল হোসেন বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছেন। এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রিত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা। তারা আরো বলেন, টেকসই সড়ক নির্মাণেনিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে পুনরায় সড়ক নির্মাণের দাবী তাদের।

মোটর সাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারী টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

ঠিকাদার শাহীন তালুকদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে দুই হাজার এক’শ মিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। বাকী কাজ দ্রুত শুরু করবো। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজের বিল ছাড় দিলেও এখনো উত্তোলন করতে পারিনি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তার বিল ছাড় দেয়া হয়েছে।
বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, কাজ করলে ঠিকাদারকে বিল ছাড় দিতেই হবে। তবে ঠিকাদার ওই সড়কের কিছু স্থানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল পরির্দশন করে ওই নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আমতলীতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ : ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রকৌশলী

আপডেট সময় : ০৫:২৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

আমতলী সংবাদদাতা

আমতলী উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসির ৪ হাজার ৩’শ মিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা ও শাহীন তালুকদার এ নিম্নমানের কাজ করছেন। উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জেনেও ঠিকাদারের এ নিম্নমানের কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। স্থানীয়দের দাবী এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে ধানখালী জিসি সড়কের চার হাজার তিন’শ মিটার সড়ক। এ সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে তিন কোটি চার লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই কাজের টেন্ডার হয়। বরেন্দ্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায়। ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার গত বছর জুন মাসে ওই সড়কের কিছু অংশের কাজের মেগাডাম করে ফেলে রাখেন। কাজের মেয়াদ আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার কাজ করেননি।

গত ডিসেম্বর মাসে ওই কাজ শুরু করেন। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া ও পাথর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়দেও আরো অভিযোগ ঠিকাদার শাহীন তালুকদার ও শহীদুল ইসলাম মৃধা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন। ঠিকাদারগণ দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি।এ বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জানালেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ওই কাজের এক কিস্তির বিল ছেড়ে দিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করছেন।

স্থানীয় বাচ্চু মিয়া ও কামাল হোসেন বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণ করেছেন। এ সড়ক বেশী দিন টিকবে না। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে। দ্রিত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা। তারা আরো বলেন, টেকসই সড়ক নির্মাণেনিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ করে পুনরায় সড়ক নির্মাণের দাবী তাদের।

মোটর সাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যে নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন তাতে সরকারী টাকা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

ঠিকাদার শাহীন তালুকদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইতিমধ্যে দুই হাজার এক’শ মিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। বাকী কাজ দ্রুত শুরু করবো। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী কাজের বিল ছাড় দিলেও এখনো উত্তোলন করতে পারিনি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন তার বিল ছাড় দেয়া হয়েছে।
বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, কাজ করলে ঠিকাদারকে বিল ছাড় দিতেই হবে। তবে ঠিকাদার ওই সড়কের কিছু স্থানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেছিল পরির্দশন করে ওই নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করা হয়েছে।