ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

৫৫৩ কোটি টাকার সেই নভোথিয়েটার প্রকল্প বাতিল : জনমনে ক্ষোভ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১২৯ বার পড়া হয়েছে

প্রলয় ডেস্ক

খুলনায় নভোথিয়েটার স্থাপন নিয়ে আলোচনা চলছে প্রায় একযুগ ধরে। স্থান নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫৫৩ কোটি টাকার নভোথিয়েটার প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোকাব্বির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় প্রকল্পটির কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।শেষ মুহুর্তে মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে খুলনার মানুষ। প্রকল্প চালু এবং দ্রুত কাজ শুরুর দাবিতে চলতি সপ্তাহেই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে নাগরিক সংগঠনগুলো।

প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার হুশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক নেতারা। খুলনায় বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে খুলনায় মহাকাশ বিষয়ক গবেষণার আর সুযোগ থাকছে না। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞান বিষয়ক ডিজিটাল ও সাইন্টিফিক সামগ্রী প্রদর্শন থেকে বঞ্চিত হবে। অথচ বিভাগীয় নভোথিয়েটারটি নির্মাণ হলে বিজ্ঞান শিক্ষার ধারণাই পাল্টে যেত শিক্ষার্থীদের।

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনুমোদন হয় খুলনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রকল্প। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের ডিপিপি একনেক সভায় শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত হয়। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫৫৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সূত্র জানিয়েছে, খুলনা নভোথিয়েটার প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬ মাস। এরমধ্যে ২৮ মাস কেটে গেছে জমি নির্ধারণ করতে। গতবছর ২৩ এপ্রিল নভোথিয়েটার নির্মাণের জন্য কলোনীর ৮ দশমিক ৩৫১ একর জমি নভোথিয়েটার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে গণপূর্ত বিভাগ। আর গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রকল্পের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে।

প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে একটি মাঠ রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন এলাকার শিশু-কিশোর খেলাধুলা করে। মাঠের আবেগ কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের বিরোধিতায় নামে একটি পক্ষ। নভোথিয়েটার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে আপত্তি দেখে আমরা খুলনায় গিয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। আমরা বলেছি, আগে নতুন খেলার মাঠ তৈরি হবে। এরপর নভোথিয়েটারের কাজ শুরু হবে। সবাই সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু পরে নানা ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞানকে সহজভাবে উপস্থাপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করা, বিজ্ঞান সম্পর্কিত ধারণা দেওয়ার জন্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে নভোথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালে খুলনা নভোথিয়েটারের জন্য জমি খোঁজা শুরু হয়। জমি খুঁজতেই সময় কেটে গেছে ১০ বছর। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুরে নভোথিয়েটারের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে নগরীর সিএন্ডবি কলোনীর ১০ একর জমিতে নভোথিয়েটার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর খুলনায় নভোথিয়েটার প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে খুলনার জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে খুলনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী, খুলনার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশগ্রহণকারী সকলে নগরীর সিএন্ডবি কলোনীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একমত পোষণ করেন।

সূত্রমতে, প্রকল্পের নাম এবং খুলনার জোড়াগেট সিঅ্যান্ডবি কলোনীবাসীর আপত্তির কারণে এই প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসছে। কিছুদিন আগে কলোনীর খেলার মাঠ নষ্ট করে নভোথিয়েটার নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে তারা মানববন্ধন করে। তাছাড়া প্রকল্পটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নিয়ে অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা নাম এবং স্থান পরিবর্তন করে খুলনায় নভোথিয়েটার স্থাপন করা হলে তাদের কোন আপত্তি থাকছে না বলে জানিয়েছেন। এই প্রকল্প বাতিলের বিষয়ে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এ্যাডঃ বাবুল হাওলাদার জানিয়েছেন, শুধু মাত্র ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নাম থাকার কারণে এতবড় একটি প্রকল্প বাতিল হতে পারে না। দেশের সকল বিভাগে এই প্রকল্পের কাজ চালু আছে। খুলনায় কেন বন্ধ করা হলো। খুলনা বিভাগে পুনরায় নভোথিয়েটার নির্মাণ করতে চাইলে অনেক খরচও বাড়বে। সময়ও বেশি লাগবে। এই প্রকল্প সম্পর্কে গণপূর্ত-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানিয়েছেন, এই প্রকলপের মূল স্থাপনার জন্য ইজিপিতে দরপত্র আহবান করা হয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, নভোথিয়েটার নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞান শিক্ষার ধারণাই পাল্টে দিতে পারে। গুটিকয়েক মানুষের নির্বুদ্ধিতায় পুরো বিভাগের মানুষ বঞ্চিত হতে পারে না। নভোথিয়েটারের কাজ দ্রুত শুরুর দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধেও বিগত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাসহ ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতায় পিছু হটছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া সরকারের ব্যয় সংকোচনের নীতির বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে। এতে দীর্ঘ ৩৮ মাস ঝুলে থাকা প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

৫৫৩ কোটি টাকার সেই নভোথিয়েটার প্রকল্প বাতিল : জনমনে ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রলয় ডেস্ক

খুলনায় নভোথিয়েটার স্থাপন নিয়ে আলোচনা চলছে প্রায় একযুগ ধরে। স্থান নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫৫৩ কোটি টাকার নভোথিয়েটার প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোকাব্বির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় প্রকল্পটির কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।শেষ মুহুর্তে মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে খুলনার মানুষ। প্রকল্প চালু এবং দ্রুত কাজ শুরুর দাবিতে চলতি সপ্তাহেই আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে নাগরিক সংগঠনগুলো।

প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার হুশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক নেতারা। খুলনায় বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে খুলনায় মহাকাশ বিষয়ক গবেষণার আর সুযোগ থাকছে না। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞান বিষয়ক ডিজিটাল ও সাইন্টিফিক সামগ্রী প্রদর্শন থেকে বঞ্চিত হবে। অথচ বিভাগীয় নভোথিয়েটারটি নির্মাণ হলে বিজ্ঞান শিক্ষার ধারণাই পাল্টে যেত শিক্ষার্থীদের।

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অনুমোদন হয় খুলনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রকল্প। ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের ডিপিপি একনেক সভায় শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত হয়। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৫৫৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সূত্র জানিয়েছে, খুলনা নভোথিয়েটার প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬ মাস। এরমধ্যে ২৮ মাস কেটে গেছে জমি নির্ধারণ করতে। গতবছর ২৩ এপ্রিল নভোথিয়েটার নির্মাণের জন্য কলোনীর ৮ দশমিক ৩৫১ একর জমি নভোথিয়েটার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে গণপূর্ত বিভাগ। আর গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রকল্পের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে।

প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে একটি মাঠ রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন এলাকার শিশু-কিশোর খেলাধুলা করে। মাঠের আবেগ কাজে লাগিয়ে প্রকল্পের বিরোধিতায় নামে একটি পক্ষ। নভোথিয়েটার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে আপত্তি দেখে আমরা খুলনায় গিয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। আমরা বলেছি, আগে নতুন খেলার মাঠ তৈরি হবে। এরপর নভোথিয়েটারের কাজ শুরু হবে। সবাই সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু পরে নানা ঘটনা ঘটেছে। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞানকে সহজভাবে উপস্থাপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করা, বিজ্ঞান সম্পর্কিত ধারণা দেওয়ার জন্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে নভোথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১২ সালে খুলনা নভোথিয়েটারের জন্য জমি খোঁজা শুরু হয়। জমি খুঁজতেই সময় কেটে গেছে ১০ বছর। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুরে নভোথিয়েটারের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে নগরীর সিএন্ডবি কলোনীর ১০ একর জমিতে নভোথিয়েটার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর খুলনায় নভোথিয়েটার প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে খুলনার জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে খুলনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী, খুলনার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশগ্রহণকারী সকলে নগরীর সিএন্ডবি কলোনীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একমত পোষণ করেন।

সূত্রমতে, প্রকল্পের নাম এবং খুলনার জোড়াগেট সিঅ্যান্ডবি কলোনীবাসীর আপত্তির কারণে এই প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসছে। কিছুদিন আগে কলোনীর খেলার মাঠ নষ্ট করে নভোথিয়েটার নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবিতে তারা মানববন্ধন করে। তাছাড়া প্রকল্পটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নিয়ে অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা নাম এবং স্থান পরিবর্তন করে খুলনায় নভোথিয়েটার স্থাপন করা হলে তাদের কোন আপত্তি থাকছে না বলে জানিয়েছেন। এই প্রকল্প বাতিলের বিষয়ে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এ্যাডঃ বাবুল হাওলাদার জানিয়েছেন, শুধু মাত্র ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নাম থাকার কারণে এতবড় একটি প্রকল্প বাতিল হতে পারে না। দেশের সকল বিভাগে এই প্রকল্পের কাজ চালু আছে। খুলনায় কেন বন্ধ করা হলো। খুলনা বিভাগে পুনরায় নভোথিয়েটার নির্মাণ করতে চাইলে অনেক খরচও বাড়বে। সময়ও বেশি লাগবে। এই প্রকল্প সম্পর্কে গণপূর্ত-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানিয়েছেন, এই প্রকলপের মূল স্থাপনার জন্য ইজিপিতে দরপত্র আহবান করা হয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, নভোথিয়েটার নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞান শিক্ষার ধারণাই পাল্টে দিতে পারে। গুটিকয়েক মানুষের নির্বুদ্ধিতায় পুরো বিভাগের মানুষ বঞ্চিত হতে পারে না। নভোথিয়েটারের কাজ দ্রুত শুরুর দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধেও বিগত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাসহ ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতায় পিছু হটছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া সরকারের ব্যয় সংকোচনের নীতির বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে। এতে দীর্ঘ ৩৮ মাস ঝুলে থাকা প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখছে না।