ছাত্র সমন্বয়ককে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে পুলিশ বলছে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিবৃতি

- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
- / ৬৮ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা
শ্লীলতাহানি ও অপহরণ চেষ্টার মামলায় কুড়িগ্রামের চররাজিবপুর উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি (সমন্বয়ক) মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের আচরণ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব ও সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) লোকমান হোসেন লিমন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই বিবৃতি সূত্রে জানা যায়, যে, ৩১ মার্চ রাত ১১ টার পর বটতলা সংলগ্ন এলাকায় একটি অটোরিকশায় ২ জন নারী ও ৭-৮ জন পুরুষ যাত্রী ছিলেন ঐ সময়ে এক নারী যাত্রী সাহায্যের সংকেত দেন।
প্রথমে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে না পারলেও যখন অটোরিকশাটি সাধারন পথ পরিহার করে দুটি ভুট্রা ক্ষেতের মাঝখানে অন্ধকার রাস্তার দিকে মোড় নেয়, তখন তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন যে নারী যাত্রী বিপদে রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা সাহায্য করতে গেলে আরেকটি অটোরিকশায় ৭-৮জন যুবক এসে তাদের ওপর আচমকা হামলা চালায়। এসময় একজন বলেন, আমি সচিবের ছেলে, সামনে এমপি হবো। তোদের মার্ডার করবো” পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পার্শবর্তি স্থানে অচেতন অবস্থায় মেহেদীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও জানাগেছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সচিবের ছেলে বলে দাবি করেছেন, তিনি মূলত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলমের পুত্র।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা গ্রেপ্তার ওই ঘটনাটিকে একটি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম, তিনি বলেছেন আমার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী এবং নিকট আত্মীয় সহ দুটি অটোতে ঈদের দাওয়াতে গিয়েছিল, রাস্তা খারাপের কারনে একটি অটো পিছনে পরে, এর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে। আমার ছেলের স্ত্রী,তার স্বামী ও নিকট আত্মীয় সাথে থাকায় অন্য কারো কাছে ইশারায় সাহায্য চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। ঘটনার পর আমার ছেলের শশুর আব্দুল লতিফ বিশ্বাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে। আমার জানামতে রাজিবপুরে লিখিত কোনো সমন্বক কমিটি নাই।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান দৈনিক প্রলয়কে বলেন, ভুক্তভোগীর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করছে।