ইবিতে সাংবাদিকদের সাথে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতবিনিময়

- আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
- / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
ইবি সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখার নেতারা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল নয়টার দিকে ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের করিডোরে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে শাখা শিবির।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নীতিমালা প্রণয়ন করে ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে গঠিত ছাত্র সংসদ সুসংগঠিত হয়ে ছাত্রদের অধিকার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা একটি ক্যাম্পাসের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় এবং এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে এই ক্যাম্পাস থেকে অনেক বড় বড় নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সুতরাং আমি প্রশাসনের কাছে আমি আহ্বান জানাই, অতিদ্রুত ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ এবং নীতিমালা প্রণয়ন করে তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
৫ আগস্টের পর হলে অবস্থানকারীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইবি শিবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “হলে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা। এখানে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ভাইয়েরা ছিলেন, ছাত্রদলের ভাইয়েরা ছিলেন, আরও অনেকেই ছিলেন। নিজস্ব ব্যানারে কেউ হলে উঠেনি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হল থেকে বের করে শিক্ষার্থীরা সেখান অবস্থান করছে। আমাদের জায়গা থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছি যে, যদি আমাদের কেউ থেকেও থাকে হলে আমরা তাকে সেখান থেকে বের করে আনবো। তবে আপনারা আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেন যে মেধার ভিত্তিতে হলের সীট বন্টন হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত সেরকম কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলেও পারে নাই বলেই আমার মনে হয়। যদি কেউ দায়িত্ব নিয়ে এটা করতে পারে আমরা সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হবো।”
প্রধান অতিথি আরো বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতিও হলে থাকে না। আমরা তাকে বলেছি আপনার যদি লিগ্যাল সীট না থাকে তাহলে মেসে থাকতে হবে। যেহেতু ক্যাম্পাসে শিবির সভাপতিকেই আমরা এলাউ করিনি সেহেতু অন্য কোনো জনশক্তি জোর করে হলে রাখার তো কোনো প্রশ্নই আসেনা।”
ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ির ব্যাপারে শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “আমাদের জনশক্তিদের প্রতি আমাদের নির্দেশনা হলো কাঁদা ছোড়াছুড়ির ব্যাপারে নিজেকে নিবৃত রাখা। আমরা সবসময় চেষ্টা করি যেন সহনশীল অবস্থা বিরাজ করে। নব্বইয়ের দশক কিংবা তারপরেও আপনারা দেখে থাকবেন প্রতিটা ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে মারামারি ক্ল্যাশ লেগেই থাকতো। মারামারি কাটাকাটি এগুলো ছিল নিত্য-নৈমিত্যিক ব্যাপার। কিন্তু আমরা ৫ আগস্টের পর দেখেছি অনলাইনে যাই হোক বাস্তবে ক্যাম্পাসে খুব বেশি কিছু হয়নাই। আমরা যথেষ্ট সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে সবার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছি। এবং আমরা চাই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের যে পরিবেশ ও নীতিমালা প্রণয়ন করার মাধ্যমে ছাত্ররা যেন তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে পারে।
তিনি আরোও বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির হচ্ছে মেধাবীদের প্রিয় ঠিকানা। কারন এখানে কোনো চাঁদাবাজি নেই, এখানে মাদকের কোনো ঠিকানা নেই। তাই মেধাবীরা এখানে এসে তাদের মেধার চর্চা করতে পারে। ইসলামী ছাত্রশিবির স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সর্বত্র তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের মূল থিওরি হচ্ছে, যে কেউ ইসলামী ছাত্রশিবির করতে পারবে। আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে আগে তারা রেজাল্ট কি ছিল এটা আমরা যাচাই বাছাই করার চেয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরে আসার পর তার রেজাল্টের কি উন্নতি হলো, তার কোনো স্কিল ডেভেলপমেন্ট হলো এগুলোতে মনোযোগ দেই। এজন্য আমরা নানাধরণের কার্যক্রমও পরিচালনা করে থাকি।