ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব, পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহ উদ্দিন আহমদ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। শুধু সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার গুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অর্ডিন্যান্স এর মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনুস।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সাথে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সাথেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি।

‘আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি’ -এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমার একমতে আসতে পারবে সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদের স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনিফেস্টুতেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে।

আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতিমধ্যে অনেক সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে বলে জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

বৈঠকে ২৬ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেয়। তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব, পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহ উদ্দিন আহমদ

আপডেট সময় : ১২:০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। শুধু সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার গুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অর্ডিন্যান্স এর মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনুস।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সাথে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সাথেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি।

‘আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি’ -এমন মন্তব্যও করেন তিনি।

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমার একমতে আসতে পারবে সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদের স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনিফেস্টুতেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে।

আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতিমধ্যে অনেক সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে বলে জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

বৈঠকে ২৬ টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেয়। তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।