ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

যেভাবে অশান্ত হয়ে উঠলো পার্বত্য চট্টগ্রাম

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

ছবি অনলাইন সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে পাহাড়িদের একটি মিছিল বের হয়ে বনরূপায় গেলে সেখানে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বাঙ্গালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও মসজিদের কাচ ভাংচুর করে মিছিলকারিরা। তারা এসময় রাস্তায় চলাচলকারি বাস, ট্রাক ও টেক্সি ভাংচুর করে।

এরপর লাঠিসোঠা হাতে মাঠে নেমে পড়ে বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। লুটপাট করা হয় বিহারের দানবাক্সের অর্থ। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন দুটি বাবসা প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় আঞ্চলিক পরিষদের সাতটি গাড়ি। দু’পক্ষের আগুনে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা। এই ঘটনায় আনুমানিক ২৫ বছরের এক যুবক মারা গেলেও তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ঘটনায় ৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন দুপুর একটা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। হামলার ঘটনায় শহরে অর্ধ-শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

পাহাড়ি নেতৃবৃন্দের দাবি, মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে বনরূপায় বাঙালিরা তাদের মিছিলে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। এরপর দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

বাঙালিরা অভিযোগ করেন, পাহাড়িদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বনরূপা মসজিদ মার্কেট ও মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন জামে মসজিদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পাহাড়িদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়।

আব্দুর রহিম নামে আহত হওয়া এক যুবক বলেন, সকালে আমি বনরূপাতে ছিলাম। পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপা ঘুরে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই বাঙালিদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। মসজিদে ইট মেরে কাচ ভাংচুর করে। এসময় তাদের ইটের আঘাতে অনেকেই আহত হয়। আমার হাতে একটি ইট পড়ে। এখানকার ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ভয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে পারছি না।

আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ব্যাপক সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উন্মেষের সভাপতি প্রিন্সি চাকমা বলেন, প্রো বেটার লাইফ (পিবিএল) অফিসে সকালে গিয়েছিলাম। সেই সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে ছিল। হঠাৎ দেখি আমাদের অফিসের নিচে আগুন লাগানো হয়েছে।

পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসেন। আমরা যখন সেনাবাহিনীর গাড়িতে উঠি তখনও বাঙালিরা আমাদের ওপর হামলা করে ইটপাটকেল ছুড়েতে থাকে। পরে আমাদের নিরাপদ স্থানে ছেড়ে আসে সেনা সদস্যরা। এসময় আমাদের সঙ্গে থাকা চারজন শিশু শিক্ষার্থীকে হারিয়ে ফেলি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেই শিশুদের উদ্ধার করা হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

ডায়াগনস্টিক সেন্টার শেভরন ডক্টরস ল্যাবে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডা. অসিত বরণ দাম। তিনি বলেন, আমি ল্যাবে যাইনি। স্টাফরাও সেখানে নেই। আমাদের ল্যাবে ভাংচুর করা হয়েছে এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি।

রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বনরূপায় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাংচুর করে বলে জানতে পেরেছি। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে অস্ত্র-ড্রোনসহ প্রযুক্তি সরঞ্জাম উদ্ধার

এদিকে বিক্ষোভকারীদের আগুনের ঘটনায় ফাইবার অপটিকের ক্যাবল পুড়ে যায়। ফলে রাঙামাটি শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইয়েস নেটের পরিচালক মো. শাহীন। তিনি বলেন, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ফাইবার অপটিকের ক্যাবল পুড়ে যায় এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শওকত আকবর জানিয়েছেন, হাসপাতালে ৫৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ১৯জন ভর্তি রয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক যুবকের মরদেহ হাসপাতালে রেখে গেছে। তার কোনো আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ আমরা পাচ্ছি না।

রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. সাইফুল উদ্দিন জানিয়েছেন, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা ও গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশঙ্কায় রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১১৪ ধারা বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

যেভাবে অশান্ত হয়ে উঠলো পার্বত্য চট্টগ্রাম

আপডেট সময় : ০৯:১৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিলের পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে পাহাড়িদের একটি মিছিল বের হয়ে বনরূপায় গেলে সেখানে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বাঙ্গালিদের বেশ কিছু দোকানপাট ও মসজিদের কাচ ভাংচুর করে মিছিলকারিরা। তারা এসময় রাস্তায় চলাচলকারি বাস, ট্রাক ও টেক্সি ভাংচুর করে।

এরপর লাঠিসোঠা হাতে মাঠে নেমে পড়ে বাঙালিরাও। তাদের পাল্টা হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাঁঠালতলীতে অবস্থিত মৈত্রী বিহার। লুটপাট করা হয় বিহারের দানবাক্সের অর্থ। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বনরূপায় পাহাড়িদের মালিকানাধীন দুটি বাবসা প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় আঞ্চলিক পরিষদের সাতটি গাড়ি। দু’পক্ষের আগুনে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা। এই ঘটনায় আনুমানিক ২৫ বছরের এক যুবক মারা গেলেও তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ঘটনায় ৫৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন দুপুর একটা থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। হামলার ঘটনায় শহরে অর্ধ-শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

পাহাড়ি নেতৃবৃন্দের দাবি, মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে বনরূপায় বাঙালিরা তাদের মিছিলে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। এরপর দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

বাঙালিরা অভিযোগ করেন, পাহাড়িদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে বনরূপা মসজিদ মার্কেট ও মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন জামে মসজিদে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পাহাড়িদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়।

আব্দুর রহিম নামে আহত হওয়া এক যুবক বলেন, সকালে আমি বনরূপাতে ছিলাম। পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপা ঘুরে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই বাঙালিদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। মসজিদে ইট মেরে কাচ ভাংচুর করে। এসময় তাদের ইটের আঘাতে অনেকেই আহত হয়। আমার হাতে একটি ইট পড়ে। এখানকার ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ভয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে পারছি না।

আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ব্যাপক সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উন্মেষের সভাপতি প্রিন্সি চাকমা বলেন, প্রো বেটার লাইফ (পিবিএল) অফিসে সকালে গিয়েছিলাম। সেই সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে ছিল। হঠাৎ দেখি আমাদের অফিসের নিচে আগুন লাগানো হয়েছে।

পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করতে আসেন। আমরা যখন সেনাবাহিনীর গাড়িতে উঠি তখনও বাঙালিরা আমাদের ওপর হামলা করে ইটপাটকেল ছুড়েতে থাকে। পরে আমাদের নিরাপদ স্থানে ছেড়ে আসে সেনা সদস্যরা। এসময় আমাদের সঙ্গে থাকা চারজন শিশু শিক্ষার্থীকে হারিয়ে ফেলি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেই শিশুদের উদ্ধার করা হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

ডায়াগনস্টিক সেন্টার শেভরন ডক্টরস ল্যাবে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডা. অসিত বরণ দাম। তিনি বলেন, আমি ল্যাবে যাইনি। স্টাফরাও সেখানে নেই। আমাদের ল্যাবে ভাংচুর করা হয়েছে এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে শুনেছি।

রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বনরূপায় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বনরূপা মসজিদে হামলা ও ভাংচুর করে বলে জানতে পেরেছি। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়িরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে অস্ত্র-ড্রোনসহ প্রযুক্তি সরঞ্জাম উদ্ধার

এদিকে বিক্ষোভকারীদের আগুনের ঘটনায় ফাইবার অপটিকের ক্যাবল পুড়ে যায়। ফলে রাঙামাটি শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইয়েস নেটের পরিচালক মো. শাহীন। তিনি বলেন, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ফাইবার অপটিকের ক্যাবল পুড়ে যায় এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শওকত আকবর জানিয়েছেন, হাসপাতালে ৫৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ১৯জন ভর্তি রয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক যুবকের মরদেহ হাসপাতালে রেখে গেছে। তার কোনো আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ আমরা পাচ্ছি না।

রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. সাইফুল উদ্দিন জানিয়েছেন, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা ও গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশঙ্কায় রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১১৪ ধারা বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।