ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

লালমনিরহাটে আবারও বন্যার শঙ্কা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে তিস্তার ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষনে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলে চাষাবাদকৃত ধানসহ নানাজাতের সবজির ক্ষেত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে ভারী বর্ষণের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ছাড়াও বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১.৮৩ মিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। যা বিপদসীমার ৩২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তায় লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় বন্যাের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির বাসিন্দা কৃষক মশিয়ার রহমান(৪০) বলেন, গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চরের চাষকরা ধান তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতেই নদী তীরবর্তী বাড়িঘরে পানি ঢুকতে পারে।

একই এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দা মজিবর রহমান (৫২) বলেন, গত দুইদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির ভয়ংকর শব্দের রাতের ঘুম হারিয়ে যায়। গতরাতে তার প্রতিবেশীর বাড়ির একটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানন তিনি।

লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা,স্বর্নামতিসহ বিভিন্ন নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ২৪ ঘন্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (৮৯ মি.মি.) সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরবর্তী ২ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে।

এর প্রেক্ষিতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পরবর্তী একদিন পর্যন্ত তা স্থিতিশীল এবং এর পরদিন থেকে তা হ্রাস পেতে পারে।

এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে

নিউজটি শেয়ার করুন

লালমনিরহাটে আবারও বন্যার শঙ্কা

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে তিস্তার ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষনে হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীর চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলে চাষাবাদকৃত ধানসহ নানাজাতের সবজির ক্ষেত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে ভারী বর্ষণের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ছাড়াও বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১.৮৩ মিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। যা বিপদসীমার ৩২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তায় লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় বন্যাের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির বাসিন্দা কৃষক মশিয়ার রহমান(৪০) বলেন, গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চরের চাষকরা ধান তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতেই নদী তীরবর্তী বাড়িঘরে পানি ঢুকতে পারে।

একই এলাকার নদী তীরবর্তী বাসিন্দা মজিবর রহমান (৫২) বলেন, গত দুইদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির ভয়ংকর শব্দের রাতের ঘুম হারিয়ে যায়। গতরাতে তার প্রতিবেশীর বাড়ির একটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানন তিনি।

লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা,স্বর্নামতিসহ বিভিন্ন নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ২৪ ঘন্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (৮৯ মি.মি.) সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরবর্তী ২ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে।

এর প্রেক্ষিতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে পরবর্তী একদিন পর্যন্ত তা স্থিতিশীল এবং এর পরদিন থেকে তা হ্রাস পেতে পারে।

এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে