ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনকারী শনাক্তে কাপড় খুলে চেক করা হয় পঙ্গু হাসপাতালে!

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯১ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে তার আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন।

গত ১৮ জুলাই সায়েন্সল্যাবে আহত হন ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা আহমেদ জীবন। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে আহত হওয়ার পর কিভাবে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোন কোন পরিস্থিতিতে তিনি পড়েছিলেন।

ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয় মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া আহমেদ জীবনের জীবন কাটছে এখন বিছানায় শুয়ে। এভাবে আরও সাত মাস কাটাতে হবে তাকে। তারপরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।

আহমেদ জীবন বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে কিছু জুনিয়র যারা ছিল, তাদের সেভ করতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। পরে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ সদস্যরা লাথি মারতে থাকে। মাথা সেভ করতে গেলে তখন তার পিঠে অনেক জোড়ে আঘাত করা হয়। এমআরআই রিপোর্টে বুঝতে পারেন মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে গেছে।

১৮ জুলাই আহত হওয়ার পর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জীবন। সেখানে গ্রেপ্তার এড়াতে গোপন রাখতে হয় আহত হওয়ার কারণ। তিনি বলেন, ওখানে বলেছেন বাসায় লাইট ছিল না, সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। ওখান থেকে যখন বের হবেন তখন তারা তাকে বের হতেও দিতে চাচ্ছিল না। কোথায় আহত হয়েছেন, কেন আহত হয়েছেন তা জানতে চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাপড় খুলে চেক করা হয় শরীরে কোথাও গুরুতর আঘাত আছে কি না… পুলিশের আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। গুলিবিদ্ধ কি না। এরকম হলে তারা আমাকে রিলিজ দেবে না প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্দোলনকারী শনাক্তে কাপড় খুলে চেক করা হয় পঙ্গু হাসপাতালে!

আপডেট সময় : ০৩:২৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে তার আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন।

গত ১৮ জুলাই সায়েন্সল্যাবে আহত হন ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা আহমেদ জীবন। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে আহত হওয়ার পর কিভাবে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোন কোন পরিস্থিতিতে তিনি পড়েছিলেন।

ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয় মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া আহমেদ জীবনের জীবন কাটছে এখন বিছানায় শুয়ে। এভাবে আরও সাত মাস কাটাতে হবে তাকে। তারপরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।

আহমেদ জীবন বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে কিছু জুনিয়র যারা ছিল, তাদের সেভ করতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। পরে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ সদস্যরা লাথি মারতে থাকে। মাথা সেভ করতে গেলে তখন তার পিঠে অনেক জোড়ে আঘাত করা হয়। এমআরআই রিপোর্টে বুঝতে পারেন মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে গেছে।

১৮ জুলাই আহত হওয়ার পর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জীবন। সেখানে গ্রেপ্তার এড়াতে গোপন রাখতে হয় আহত হওয়ার কারণ। তিনি বলেন, ওখানে বলেছেন বাসায় লাইট ছিল না, সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। ওখান থেকে যখন বের হবেন তখন তারা তাকে বের হতেও দিতে চাচ্ছিল না। কোথায় আহত হয়েছেন, কেন আহত হয়েছেন তা জানতে চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাপড় খুলে চেক করা হয় শরীরে কোথাও গুরুতর আঘাত আছে কি না… পুলিশের আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। গুলিবিদ্ধ কি না। এরকম হলে তারা আমাকে রিলিজ দেবে না প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া।’