ফরিদপুরে দাফনের ২ মাস পর কবর খুঁড়ে তোলা হলো রিমাজের মরদেহ

- আপডেট সময় : ০৭:৩২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
মারিয়া ইসলাম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১২ ঘন্টা বিলে পড়ে থাকা সেই রিমাজ শেখের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। দাফনের ২ মাস পর আজ (০৬ অক্টোবর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কবর থেকে তুলে পুলিশ।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দবির উদ্দিন ও ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন মোল্লা। লাশ তোলার পর সুরতহাল তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় মামলার বাদি রিমাজের মা মমতাজ বেগমের দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই ছেলের খুঁনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান তিনি।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দবির উদ্দিন জানান, লাশটি প্লাষ্টিকের একটি মোড়কে সংরক্ষন করে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টি অনুযায়ী বিজ্ঞ আদালত যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
রিমাজ শেখ উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে। সে পেশায় অটোচালক ছিলেন। গত ২ আগষ্ট দুপুরে জুমার নামাজ পড়ার উদ্ধেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায় নি।
এরপর গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় গ্রামের একটি বিলে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বজনরা মরদেহর পরিচয় শনাক্ত করেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ভাঙ্গা থানায় খবর জানানোর পর তখন থানা থেকে কোন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে না আসায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত ৬ আগষ্ট ভাঙ্গা মডেল মসজিদ সংলগ্ন মাদানী নগর মাদ্রাসার কবর স্থানে দাফন করা হয় রিমাজের মরদেহ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন মোল্লা জানান, গত ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চলমান পরিস্থিতিতে খুঁনের ঘটনাটির বিষয়ে পুলিশ কাজ করতে পারে নি। এ ঘটনায় রিমাজের মা মমতাজ বেগম বাদি হয়ে প্রথমে ফরিদপুর কোর্টের দারস্থ হন।
এরপর গত ২৫ আগষ্ট বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনায় ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে কোর্টের নির্দেশনা অুনযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলনের পর ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোকছেদুর রহমান জানান, যেহেতু এটি একটি খুঁনের ঘটনা। মৃত্যুর কারণ জানা গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ‘১২ ঘন্টা পড়ে ছিলো যুবকের মরদেহ তদন্ত ছাড়াই দাফন’ এই শিরোনামে গত ০৭ আগষ্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সমকালে। এর দুই মাস পর সেই মরদেহর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।