ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দরগাবাড়ি এলাকায় স্বামীর ওপর অভিমান করে শিরিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন। শিরিন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার কলাতিয়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে ছিল। স্বামীর সাথে ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহতের স্বামী আসাদ মিয়া জানান, আমি দুই সন্তানের জনক। আমার স্ত্রী একটু রাগী স্বভাবের ছিল। আমি কাঁচাবাজারসহ মাছের ব্যবসা করি। ব্যবসায় লোকসানের কারণে আমি ঋণের মধ্যে পড়ে যাই।

এ নিয়ে আমাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আমি স্ত্রীকে বলতাম, ঋণের চিন্তা তোমার না, আমি ঋণ করেছি আমি বুঝব। কিন্তু আমার স্ত্রী প্রায়ই আমার ওপর অভিমান করত এবং ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত।

দুপুরের দিকে আমি পাশের ঘরে শুয়ে ছিলাম। কোন সারা শব্দ না পেয়ে আমি রুমে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। এরপর প্রথমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানান আমার স্ত্রী আর বেঁচে নেই।’

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিরিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।’ তিনি বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৭:০৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দরগাবাড়ি এলাকায় স্বামীর ওপর অভিমান করে শিরিন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন। শিরিন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার কলাতিয়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে ছিল। স্বামীর সাথে ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহতের স্বামী আসাদ মিয়া জানান, আমি দুই সন্তানের জনক। আমার স্ত্রী একটু রাগী স্বভাবের ছিল। আমি কাঁচাবাজারসহ মাছের ব্যবসা করি। ব্যবসায় লোকসানের কারণে আমি ঋণের মধ্যে পড়ে যাই।

এ নিয়ে আমাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আমি স্ত্রীকে বলতাম, ঋণের চিন্তা তোমার না, আমি ঋণ করেছি আমি বুঝব। কিন্তু আমার স্ত্রী প্রায়ই আমার ওপর অভিমান করত এবং ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত।

দুপুরের দিকে আমি পাশের ঘরে শুয়ে ছিলাম। কোন সারা শব্দ না পেয়ে আমি রুমে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। এরপর প্রথমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানান আমার স্ত্রী আর বেঁচে নেই।’

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিরিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।’ তিনি বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’