ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: আসিফ নজরুল

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মনে করেন ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে বন্দি বিনিময় চুক্তির কথা উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, এই চুক্তি ভারত মানলে তাদের শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। এই চুক্তি সঠিকভাবে মানলে তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য।

ঢালাও মামলা দায়েরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের সহযোগিতায় গায়েবি মামলা হতো। এগুলো পুলিশ করত। মামলাগুলো তৎকালীন বিরোধীদলের লোকদের বিরুদ্ধে হতো। এখন হচ্ছে ঢালাও মামলা। যারা পূর্বে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারাই এই মামলা করছে। এই মামলাগুলোতে যাতে নিরাপরাধ লোক শাস্তি না পান সে বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। তবে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি বড় হয়ে উঠেছে। জনপ্রত্যাশা তৈরি হলে নিষিদ্ধ করা হবে। তারা অতীতে কী কাজ করেছে তা দেশবাসী দেখেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, তরকারির এত দাম যে বিক্রি কমে গেছে। বন্যার কারণে ডিমের সাপ্লাই কমে গেছে। গত সরকারের আমলে সব নিয়ন্ত্রণ হতো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। তবে এটুকু বলতে পারি সামনে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। অনেকক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।

বিগত সরকারের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যত সর্বনাশ হচ্ছে, সবকিছু ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের বাই প্রোডাক্ট বা অনিবার্য রিফ্লেকশন হয়ে গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যখন এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসে উনি অবাক হয়ে বলেছেন, এতিমের টাকা আমি আত্মসাৎ করেছি! অথচ সেটা নিয়ে বিচারক লিখলেন-উনি (খালেদা জিয়া) স্বীকার করেছেন। এই রকম একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে দিনের পর দিন নির্মম কারাজীবনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। উনারা কি বিচারক ছিলেন? উনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলাম।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা প্রতিকার চাইতে গেছেন, বিচারকরা নাকি ইমব্যারাজড, শুনবেন না। আমি কমপ্লেইন জানাতে গেলাম, তারা শুনবেনই না। অবশ্য এখানে ভালো বিচারক আছেন। আমাদেরকে নির্মোহভাবে, গভীরভাবে বিচার করতে হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা পুরোটাই বাতিল করার প্রক্রিয়ায় আছি। মানুষ এই নামগুলোই শুনতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: আসিফ নজরুল

আপডেট সময় : ১২:১৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মনে করেন ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে বন্দি বিনিময় চুক্তির কথা উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, এই চুক্তি ভারত মানলে তাদের শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। এই চুক্তি সঠিকভাবে মানলে তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য।

ঢালাও মামলা দায়েরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের সহযোগিতায় গায়েবি মামলা হতো। এগুলো পুলিশ করত। মামলাগুলো তৎকালীন বিরোধীদলের লোকদের বিরুদ্ধে হতো। এখন হচ্ছে ঢালাও মামলা। যারা পূর্বে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তারাই এই মামলা করছে। এই মামলাগুলোতে যাতে নিরাপরাধ লোক শাস্তি না পান সে বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। তবে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি বড় হয়ে উঠেছে। জনপ্রত্যাশা তৈরি হলে নিষিদ্ধ করা হবে। তারা অতীতে কী কাজ করেছে তা দেশবাসী দেখেছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, তরকারির এত দাম যে বিক্রি কমে গেছে। বন্যার কারণে ডিমের সাপ্লাই কমে গেছে। গত সরকারের আমলে সব নিয়ন্ত্রণ হতো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। তবে এটুকু বলতে পারি সামনে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। অনেকক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।

বিগত সরকারের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যত সর্বনাশ হচ্ছে, সবকিছু ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের বাই প্রোডাক্ট বা অনিবার্য রিফ্লেকশন হয়ে গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যখন এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসে উনি অবাক হয়ে বলেছেন, এতিমের টাকা আমি আত্মসাৎ করেছি! অথচ সেটা নিয়ে বিচারক লিখলেন-উনি (খালেদা জিয়া) স্বীকার করেছেন। এই রকম একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে দিনের পর দিন নির্মম কারাজীবনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। উনারা কি বিচারক ছিলেন? উনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলাম।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটা প্রতিকার চাইতে গেছেন, বিচারকরা নাকি ইমব্যারাজড, শুনবেন না। আমি কমপ্লেইন জানাতে গেলাম, তারা শুনবেনই না। অবশ্য এখানে ভালো বিচারক আছেন। আমাদেরকে নির্মোহভাবে, গভীরভাবে বিচার করতে হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা পুরোটাই বাতিল করার প্রক্রিয়ায় আছি। মানুষ এই নামগুলোই শুনতে পারে না।