ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

কুপিয়ে হত্যার পর রেললাইনে ফেলা হয় গৃহবধূ শিলার মরদেহ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত শিলা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে শিলা খাতুন।

নিহতের ১৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

নিহতের বাবা হামিদুল ইসলাম জানান, মেয়েকে জামাই মাঝে মাঝেই নির্যাতন করতো। রোববার দুপুর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ভোরে জামাই ফোন দিয়ে জানায় মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জামাই কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে রেখে দেয়। আত্মহত্যার নাটক সাজাতে এ ঘটনা ঘটায় সে।

নিহত শিলা খাতুনের মা আফিরন নেছা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে জামাই আমার মেয়েকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির চাই।

নিহত শিলা খাতুনের বড় ভাই বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের চলছিল। বোনের স্বামী রাসেল আমাকে বলেছিল ডিভোর্স দিতে কাবিননামার টাকা পরিশোধ করতে হবে এ কারণে এখনি ডিভোর্স দেব না। অপরদিকে বোন শিলা আমাদের জানিয়েছিল, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করে। তাই আমরা যেন নিজেরাই ডিভোর্স দিয়ে দেই।

তিনি বলেন, সোমবার মধ্যরাত ৪টার দিকে আমাকে রাসেল কল করে বলে তোমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও চলে গেছে। সকালে বোনের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে রেললাইনের ওপর ভিড় দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোনের মরদেহ রেললাইনে পড়ে আছে। শরীরে ধারাল অস্ত্রের জখম রয়েছে। আমার বোনকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন’।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবল কুমার বলেন, নিহতের ভাই জানিয়েছেন, রাতে শ্বশুরবাড়িতে কোন বিষয়ে শিলা খাতুনের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। সকালে রেললাইনের ওপর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুপিয়ে হত্যার পর রেললাইনে ফেলা হয় গৃহবধূ শিলার মরদেহ

আপডেট সময় : ০২:৫০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত শিলা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের রাসেলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে শিলা খাতুন।

নিহতের ১৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল সড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

নিহতের বাবা হামিদুল ইসলাম জানান, মেয়েকে জামাই মাঝে মাঝেই নির্যাতন করতো। রোববার দুপুর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ভোরে জামাই ফোন দিয়ে জানায় মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জামাই কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে রেখে দেয়। আত্মহত্যার নাটক সাজাতে এ ঘটনা ঘটায় সে।

নিহত শিলা খাতুনের মা আফিরন নেছা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে জামাই আমার মেয়েকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির চাই।

নিহত শিলা খাতুনের বড় ভাই বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের চলছিল। বোনের স্বামী রাসেল আমাকে বলেছিল ডিভোর্স দিতে কাবিননামার টাকা পরিশোধ করতে হবে এ কারণে এখনি ডিভোর্স দেব না। অপরদিকে বোন শিলা আমাদের জানিয়েছিল, শ্বশুরবাড়িতে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করে। তাই আমরা যেন নিজেরাই ডিভোর্স দিয়ে দেই।

তিনি বলেন, সোমবার মধ্যরাত ৪টার দিকে আমাকে রাসেল কল করে বলে তোমার বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও চলে গেছে। সকালে বোনের শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে রেললাইনের ওপর ভিড় দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোনের মরদেহ রেললাইনে পড়ে আছে। শরীরে ধারাল অস্ত্রের জখম রয়েছে। আমার বোনকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন’।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবল কুমার বলেন, নিহতের ভাই জানিয়েছেন, রাতে শ্বশুরবাড়িতে কোন বিষয়ে শিলা খাতুনের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। সকালে রেললাইনের ওপর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়। রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করছে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।