ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৫ মাছ ব্যবসায়ী নিহত ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৩২৮ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু গ্রেপ্তার ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের চূড়ান্ত প্যানেলে অন্য যারা আছেন মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র ত্রিশালে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সিকদার শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম

নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের পথ খুললো জামায়াতের

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা:

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ নতুন করে উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী ও জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফসহ ২৫ জন একটি রিট আবেদন করেন।

এরপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দলটির করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আদালত।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এতে দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয়। এর আগে ওই আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটির আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ের পথ খুললো জামায়াতের

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব সংবাদদাতা:

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ নতুন করে উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী ও জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফসহ ২৫ জন একটি রিট আবেদন করেন।

এরপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দলটির করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আদালত।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এতে দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয়। এর আগে ওই আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটির আবেদনে সেই নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।।