টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ১২:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০২ বার পড়া হয়েছে
স্পোর্টস ডেস্ক
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে সফল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কাঠমান্ডুতে রোমাঞ্চকর ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছেন সাবিনা খাতুনরা।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ফাইনালের প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে জমে ওঠে খেলা। ৫২ মিনিটে মনিকা চাকমার গোলে প্রথম ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সে গোল শোধ দিতে চার মিনিটের বেশি লাগেনি নেপালের।
আমিশা কার্কির গোলে স্বাগতিকরা সমতায় ফেরার পর বাংলাদেশ লিড পুনরুদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চালায়। সাবিনা-তহুরারা বেশ কয়েকবার গোলমুখের আশপাশে পৌঁছে গেলেও গোলের দেখা পাননি। ৬৮ মিনিটে মারিয়া মান্দার দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার আনজিলা সুব্বা।
২০তম মিনিটে মারিয়া মান্দাকে বাজেভাবে ফাউল করায় নেপালি ফুটবলার অমৃতা হলুদ কার্ড দেখেন। পাঁচ মিনিট পর মাসুরা পারভীনের দূর থেকে নেওয়া শট তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি নেপালি গোলরক্ষকের পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রূপনার ভুলের পরও বিপদ ঘটেনি।
৩৩ মিনিটে নেপাল বক্সের ঠিক বাইরে শামসুন্নাহার জুনিয়র ফাউলের স্বীকার হলে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। মারিয়ার শট বারের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। মিনিট দুয়েক পর মনিকার সেট পিস থেকে নেয়া শট অনেক উঁচু দিয়ে যায়। এরপর ডি বক্সের জটলার ভেতর বল কাড়াকাড়ির এক পর্যায়ে না ঋতুপর্ণা চাকমার কাছে যায়। পোস্ট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও তিনি ভলিতে বল জালে জড়াতে পারেননি।
খেলার ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশের জন্য ঘটতে পারতো বিপদ। আনিতা তাদের পোস্টের কাছ থেকে লম্বা গোল কিক নেন। পোস্টের অনেক সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রূপনা বল ধরতেই পারেননি। তার মাথার উপর দিয়ে অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভেদ হয়নি।
আরও পড়ুন
ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ফিলিপাইন
প্রথমার্ধের পর অবশেষে ভাঙে ডেডলক। আক্রমণের ধারায় ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় লাল-সবুজের দল। দারুণ এক আক্রমণে তহুরা খাতুনের পাসে নেপালের রক্ষণ ভেদ করে বাংলাদেশ এগিয়ে দেন মনিকা চাকমা। তিন মিনিট পরই অবশ্য নেপাল সমতায় ফেরে প্রীতি রাইয়ের অসাধারণ একপাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন নেপালি ফরোয়ার্ড আমিশা।
রূপনা ৭৬ মিনিটে দুইবার দলকে রক্ষা করেন। সাবিত্রা পোস্টের সামনে বিপদজনকভাবে বল নিয়ে এগিয়ে যান। দৌড়ে সামনে এসে ক্লিয়ার করেন বাংলাদশি গোলরক্ষক। বদলি খেলোয়াড় রেশমির কিকে বল দ্রুততার সঙ্গে ধরেন।
ঋতুপর্ণার দারুণ ক্রসে শেষ মুহূর্তে বল মাথায় ছোঁয়াতে পারেননি শামসুন্নাহার জুনিয়র, তাই ৭৮ মিনিটে বাঘিনীদের এ যাত্রায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি। তবে ৮১ মিনিটে গ্যালারির দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন ঋতুপর্ণা। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সাফ জয়ের অগ্রিম বার্তা দেন।
ম্যাচের বাকি সময়টাতেও ছিল টানটান উত্তেজনা। একের পর এক আক্রমণ দুই দল গড়লেও আর কেউ জালের দেখা পায়নি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পর আবারো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে ভাসে সাবিনা খাতুনের দল।
সে লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০২২ সালে একই মাঠে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরার খেতাব জিতেছিলেন সাবিনা খাতুনরা।