ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দাবিতে গতকাল পদযাত্রা কর্মসূচি ডেকেছিলেন সোহেল তাজ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করার কথা ছিল । তবে পদযাত্রা করতে হয়নি। গতকাল রোববার পদযাত্রা শুরুর আগেই প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তাঁর স্মারকলিপি সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার সোহেল তাজ জানিয়েছেন, তাঁর দাবির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

সোহেল তাজ ফেসবুকে লেখেন, ৩ দফা দাবি আপডেট: আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে আজকে সকালে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সাথে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি পদক্ষেপ নিবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে।

পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি স্ট্যাটাস দেন সোহেল তাজ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার দাবি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের যারা অবদান রেখেছে সকলের অবদানকে পূর্ণাঙ্গভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় চার নেতা সহ, জিয়াউর রহমান, ওসমানী, মুক্তি যুদ্ধের ১১জন সেক্টর কমান্ডার সহ সকল বীর, হিরো, নায়ক মহানায়ক দের অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। তারা দেশের সম্পদ, তাদেরকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তাদেরকে নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো রাজনীতি যেন না হয়।

আরো পড়ুন- প্রধান উপদেষ্টাকে কাজের অগ্রগতি জানালেন কমিশনপ্রধানরা

গতকাল আমাদের সাথে দেখা করতে না পারায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন- এইটাই হল একজন বড় মনের ও মানের মানুষের পরিচয়- ভদ্রতা I আমি ওনার এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করছি- আপনাদের উপর বাংলাদেশের মানুষ অনেক আশা করে এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে একটি নতুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে- আপনাদের সফল হতে হবেই।

এর আগে গতকাল বিকেল ৪টায় তিন দফা দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে উপস্থিত হন সোহেল তাজ। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগেই বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এসে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে গেলে, পরে আর পদযাত্রা করার প্রয়োজন হয়নি। এসময় সাকুরা রেস্টুরেন্টের উল্টো পাশে শতাধিক পুলিশকে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই কলঙ্কিত দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি করেছেন সোহেল তাজ। বাকি দুটি দাবি হচ্ছে ১০ এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করা, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তির অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে অবশ্য পদত্যাগ করেন।

 

দৈনিক প্রলয়/এম এ আর

নিউজটি শেয়ার করুন

সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দাবিতে গতকাল পদযাত্রা কর্মসূচি ডেকেছিলেন সোহেল তাজ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করার কথা ছিল । তবে পদযাত্রা করতে হয়নি। গতকাল রোববার পদযাত্রা শুরুর আগেই প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তাঁর স্মারকলিপি সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোমবার সোহেল তাজ জানিয়েছেন, তাঁর দাবির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

সোহেল তাজ ফেসবুকে লেখেন, ৩ দফা দাবি আপডেট: আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে আজকে সকালে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সাথে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি পদক্ষেপ নিবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে।

পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি স্ট্যাটাস দেন সোহেল তাজ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার দাবি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের যারা অবদান রেখেছে সকলের অবদানকে পূর্ণাঙ্গভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় চার নেতা সহ, জিয়াউর রহমান, ওসমানী, মুক্তি যুদ্ধের ১১জন সেক্টর কমান্ডার সহ সকল বীর, হিরো, নায়ক মহানায়ক দের অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। তারা দেশের সম্পদ, তাদেরকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তাদেরকে নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো রাজনীতি যেন না হয়।

আরো পড়ুন- প্রধান উপদেষ্টাকে কাজের অগ্রগতি জানালেন কমিশনপ্রধানরা

গতকাল আমাদের সাথে দেখা করতে না পারায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন- এইটাই হল একজন বড় মনের ও মানের মানুষের পরিচয়- ভদ্রতা I আমি ওনার এবং এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করছি- আপনাদের উপর বাংলাদেশের মানুষ অনেক আশা করে এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে একটি নতুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে- আপনাদের সফল হতে হবেই।

এর আগে গতকাল বিকেল ৪টায় তিন দফা দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে উপস্থিত হন সোহেল তাজ। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগেই বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এসে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে গেলে, পরে আর পদযাত্রা করার প্রয়োজন হয়নি। এসময় সাকুরা রেস্টুরেন্টের উল্টো পাশে শতাধিক পুলিশকে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই কলঙ্কিত দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি করেছেন সোহেল তাজ। বাকি দুটি দাবি হচ্ছে ১০ এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করা, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যক্তির অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সোহেল তাজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে অবশ্য পদত্যাগ করেন।

 

দৈনিক প্রলয়/এম এ আর