শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর যড়ষন্ত্র করছে ভারত : রিজভী

- আপডেট সময় : ০৬:৪১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৯১ বার পড়া হয়েছে
রবিউল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ফলে ভারত শোকাহত। ভারত নরেন্দ্রমোদী শেখ হাসিনার জন্য খুব কষ্ট পেয়েছে। ভারত যড়ষন্ত্র করছে শেখ হাসিনাকে আবার দেশে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানোর। এদেশে জনগণ আর ফ্যাসিবাদ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকাকে চায়না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেল জুলুমকে মেনে নিয়েই জনগনের সঙ্গে দেশে ছিলেন এবং আছে। আর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
৫ আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজ, লুটতরাজ, খুনি সরকার এদেশের ছাত্রজনতা খুনি হাসিনাকে চায়না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের আছেন থাকবেন ছিলেন এবং আছেন। আর শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এটাই হলো শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।
রোববার বিকালে লালমনিরহাট সদরে বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় কলেজ মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ৪র্থ খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি’র সিনিয়ন যুগ্ম মহাসচিব রিজভী প্রধান উপদেষ্ট্রাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনেক যড়ষন্ত্র হচ্ছে। সর্তক থাকতে হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অচিরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুমন খাঁন হন্ডি সুমন সাধারণ পদে থেকে ৪০০ কোটি টাকার অটেল পাহাড় গড়েছেন এদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান আরো বলেন মেয়রের বাড়ি থেকে ভাত আনতে রাষ্ট্রের মাসে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ। এটা ভাবা যায় দুর্নীতি কত হয়েছে তাহলে? গত ১৬ বছর ধরে বিনাভোটে আওয়ামী লীগ জনগণের গণতন্ত্র হরণ করে তাদের নিজস্ব লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ দিয়েছে। পুলিশের একজন আইজি হাজার কোটি টাকার মালিক আর একজন মন্ত্রীর দেশের বাহিরে ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি। আওয়ামীলীগের মেয়র তার মেয়েকে হিট অফিসার হিসাবে নিয়োগ দিলেন। পরে দেখি হিট অফিসার স্বামীর আরো বেশি হিট।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছেন। বিরোধী মতের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেমতো দেশ পরিচালনা করেছেন ও ব্যাংক লুট করেছেন। শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু। এখন ভারতে পলাতক থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তাই ফ্যাসিবাদ ফের যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সেই বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে। এসময় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, সাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহা নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক একেএম মমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।