ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে খেলা দেখা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল কর্মীর গুলিতে জামায়াতের ২ কর্মী গুলিবিদ্ধ কাশিমপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা গ্রেফতার চট্টগ্রামে পিকআপ-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৫ মাছ ব্যবসায়ী নিহত

বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা

গা বাঁচাতে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ হুজুর সেজে জামায়াতেও ডুকে পড়ছেন। তাদের মধ্যে একজন উত্তরার আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি হাবিব হাসানের মামা তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থদাতা হিসেবে বেশ সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেছেন বিএনপি সমর্থক। জানা যায়, আওয়ামী লীগের এই পাতি নেতা হাবিবুর রহকমান বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি বিমানবন্দর এলাকায় স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এতে ক্ষোভ বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাবিবুরের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলের ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া গেছে। ছবিতে হাবুলকে বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছাত্র হত্যার অন্যতম আসামি শাহজাহান মণ্ডলের সাথে প্রথম সারিতে মিটিং-মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, হাবিবুর রহমান এক সময় বৃহত্তর ঢাকা-৫ আসনের (বর্তমানে ঢাকা-১৮ আসন) আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এ কে এম রহমত উল্লাহর কাছের লোক ছিলেন।

সে সময় রহমত উল্লাহর নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন। রহমত উল্লাহর আসন বিভাজনে হাবিবুর পরবর্তীতে এই আসনের সাবেক এমপি সাহারা খাতুনের (প্রয়াত) ছত্রছায়ায় রাজনীতি শুরু করলেও পরবর্তীতে হাবিব হাসান এমপি হলে তার সঙ্গী হন। আরও জানা যায়, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি ও উত্তরায় ছাত্র হত্যা অন্যতম কিলার হাবিব হাসানের ভাগিনা (হাবিবুর সহ) ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের কয়েকজন ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে এই হাবিবুর দীর্ঘদিন চাঁদাবাজিতে যুক্ত ছিল। এছাড়াও হাবিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিমানবন্দরের এক সময়ের কুখ্যাত গোল্ড মাফিয়া মুরগি মিলনের শিষ্য হওয়ায় হাবিবুর কোর্টপ্রাঙ্গনে মুরগি মিলনকে সন্ত্রাসী দিয়ে খুন করায়।

সেসময় সোনা চোরাচালানে গ্রেপ্তার হয়ে মুরগি মিলন জেলহাজতে যাওয়ায় পরবর্তীতে নিজেকে বাঁচাতে সন্ত্রাসী ভাড়া করে মুরগি মিলনকে খুন করান বলে অভিযোগ আছে হাবিবুরের বিরুদ্ধে। এ সব মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি। এদিকে বিমানবন্দর ও উত্তরা এলাকার স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের চ্যালা হাবিবুর ওরফে হবুল বর্তমানে টাকা-পয়সা খরচ করে বিএনপিতে নিজের নাম লেখানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকার বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপির মিছিলে প্রথম সারিতে অংশ নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাকে। আওয়ামী দোসর হাবিবুরের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রতবোধ প্রকাশ করেছে উত্তরার একাধিক বিএনপি নেতা। এসব বিষয়ে কথা হলে অনেক আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন হাবিবুর রহমান। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ভাই আমি কোন রাজনীতি করি না। এক সময়ে আওয়ামী লীগ সমর্থন করতাম। ১০ বছর ধরে কোনো মিটিং-মিছিলে যাই না। গোল্ড মাফিয়া মুরগি মিলনের সঙ্গে নিজের ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করলেও তবে হাবিবুরের দাবি সোনা চোরাচালানে জড়িত ছিল না সে। সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব হাসানের অর্থ যোগানদাতার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতা

আপডেট সময় : ০৫:১৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব সংবাদদাতা

গা বাঁচাতে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ হুজুর সেজে জামায়াতেও ডুকে পড়ছেন। তাদের মধ্যে একজন উত্তরার আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি হাবিব হাসানের মামা তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থদাতা হিসেবে বেশ সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেছেন বিএনপি সমর্থক। জানা যায়, আওয়ামী লীগের এই পাতি নেতা হাবিবুর রহকমান বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি বিমানবন্দর এলাকায় স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এতে ক্ষোভ বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাবিবুরের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলের ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া গেছে। ছবিতে হাবুলকে বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছাত্র হত্যার অন্যতম আসামি শাহজাহান মণ্ডলের সাথে প্রথম সারিতে মিটিং-মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, হাবিবুর রহমান এক সময় বৃহত্তর ঢাকা-৫ আসনের (বর্তমানে ঢাকা-১৮ আসন) আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এ কে এম রহমত উল্লাহর কাছের লোক ছিলেন।

সে সময় রহমত উল্লাহর নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন। রহমত উল্লাহর আসন বিভাজনে হাবিবুর পরবর্তীতে এই আসনের সাবেক এমপি সাহারা খাতুনের (প্রয়াত) ছত্রছায়ায় রাজনীতি শুরু করলেও পরবর্তীতে হাবিব হাসান এমপি হলে তার সঙ্গী হন। আরও জানা যায়, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি ও উত্তরায় ছাত্র হত্যা অন্যতম কিলার হাবিব হাসানের ভাগিনা (হাবিবুর সহ) ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের কয়েকজন ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে এই হাবিবুর দীর্ঘদিন চাঁদাবাজিতে যুক্ত ছিল। এছাড়াও হাবিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিমানবন্দরের এক সময়ের কুখ্যাত গোল্ড মাফিয়া মুরগি মিলনের শিষ্য হওয়ায় হাবিবুর কোর্টপ্রাঙ্গনে মুরগি মিলনকে সন্ত্রাসী দিয়ে খুন করায়।

সেসময় সোনা চোরাচালানে গ্রেপ্তার হয়ে মুরগি মিলন জেলহাজতে যাওয়ায় পরবর্তীতে নিজেকে বাঁচাতে সন্ত্রাসী ভাড়া করে মুরগি মিলনকে খুন করান বলে অভিযোগ আছে হাবিবুরের বিরুদ্ধে। এ সব মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি। এদিকে বিমানবন্দর ও উত্তরা এলাকার স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের চ্যালা হাবিবুর ওরফে হবুল বর্তমানে টাকা-পয়সা খরচ করে বিএনপিতে নিজের নাম লেখানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান এলাকার বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপির মিছিলে প্রথম সারিতে অংশ নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাকে। আওয়ামী দোসর হাবিবুরের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রতবোধ প্রকাশ করেছে উত্তরার একাধিক বিএনপি নেতা। এসব বিষয়ে কথা হলে অনেক আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন হাবিবুর রহমান। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ভাই আমি কোন রাজনীতি করি না। এক সময়ে আওয়ামী লীগ সমর্থন করতাম। ১০ বছর ধরে কোনো মিটিং-মিছিলে যাই না। গোল্ড মাফিয়া মুরগি মিলনের সঙ্গে নিজের ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করলেও তবে হাবিবুরের দাবি সোনা চোরাচালানে জড়িত ছিল না সে। সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব হাসানের অর্থ যোগানদাতার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।