ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মারা গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সিম্পসন গাজাবাসীদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের প্রস্তুতি না ফেরার দেশে কারা সহকারী মহাপরিদর্শক আবু তালেব সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানি অক্টোবরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

ঘরের মাঠ’ ভারতে খেলতে গিয়ে বেকায়দায় আফগানিস্তান!

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক

ইতিহাসে প্রথমবার টেস্ট আয়োজন করেছিল নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। কিন্তু ঐতিহাসিক এই টেস্ট ম্যাচটি ঠিকমতো খেলতে পারবে কিনা দুই দল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। কারণ, গ্রেটার নইদা টেস্টের প্রথম দিন পুরোটাই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এমনটি বৃষ্টির কারণে টসও করা যায়নি।

গতকালের ঘাটতি পুষিয়ে তুলতে আজ মঙ্গলবার খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল আধ ঘণ্টা আগে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায়। কিন্তু দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খেলার উপযুক্ত হয়নি পিচ-আউটফিল্ড। যে কারণে আজও টস হয়নি। টস ছাড়াই দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নবিরতির সময় হয়ে গেছে।

খেলা শুরুর অন্তরায় যে শুধু বৃষ্টি, তা কিন্তু নয়। বরং মাঠের অব্যবস্থাপনা ও অনুন্নত প্রযুক্তির কারণেই খেলা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যার প্রমাণ মেলেছে অনুশীলনে।

মাঠ ভেজা থাকার কারণে যখন দুই দল অনুশীলন করতে পারছিল না। তখন বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে মাঠ শুকোনোর চেষ্টা চালাতেও দেখা গেছে ভারতীয়দের। যদিও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই হয়েছে মাঠ কর্তৃপক্ষ। যে কারণে কোনো অনুশীলন ছাড়াই টেস্ট ম্যাচটি খেলার প্রস্তুতি নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান।

অখ্যাত এই স্টেডিয়ামটির নেই দক্ষ মাঠকর্মীও। দর্শকদের জন্য নেই বসার ব্যবস্থা। এমনটি ভেতরে নারীদের জন্য শৌচাগারও নেই। বিদ্যুত ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় মানদণ্ডও ঠিক নেই।

এসব কারণে মাঠটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।

এসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি বিশাল জগাখিচুড়ি অবস্থা। আমরা এখানে আর কখনো আসবো না। খেলোয়াড়রাও এখানকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অসন্তুষ্ট। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আগে থেকেই কথা বলেছিলাম এবং স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছিল যে সবকিছু ঠিকঠাক হবে।’

২০১৭ সালে এখানে ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে, এমন অভিযোগে মাঠটি নিষিদ্ধ করে বিসিসিআই। এরপর থেকে বিসিসিইয়ের আয়োজিত কোনো ম্যাচে এখানে অনুষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে চরম অবহেলার শিকার হয়েছিল স্টেডিয়ামটি।

কিন্তু এই মাঠকে নিজেদের হোমভেন্যু বানিয়ে আগেও খেলেছিল আফগানিস্তান। তাদের প্রত্যাশা ছিল, এতদিনে হয়তো মাঠের অনেককিছুই উন্নত হয়েছে। কিন্তু সেটা ছিল অনেকটা ‘ উদাসীন কবির কল্পনার’ মতো।

ব্যাপারটি উল্লেখ করে এসিবির আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন আমরা শেষবার এখানে এসেছি, এরপর কোনো কিছুই বদলায়নি। একটুও উন্নতি হয়নি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘরের মাঠ’ ভারতে খেলতে গিয়ে বেকায়দায় আফগানিস্তান!

আপডেট সময় : ০২:০১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক

ইতিহাসে প্রথমবার টেস্ট আয়োজন করেছিল নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। কিন্তু ঐতিহাসিক এই টেস্ট ম্যাচটি ঠিকমতো খেলতে পারবে কিনা দুই দল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। কারণ, গ্রেটার নইদা টেস্টের প্রথম দিন পুরোটাই ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এমনটি বৃষ্টির কারণে টসও করা যায়নি।

গতকালের ঘাটতি পুষিয়ে তুলতে আজ মঙ্গলবার খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল আধ ঘণ্টা আগে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায়। কিন্তু দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খেলার উপযুক্ত হয়নি পিচ-আউটফিল্ড। যে কারণে আজও টস হয়নি। টস ছাড়াই দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্নবিরতির সময় হয়ে গেছে।

খেলা শুরুর অন্তরায় যে শুধু বৃষ্টি, তা কিন্তু নয়। বরং মাঠের অব্যবস্থাপনা ও অনুন্নত প্রযুক্তির কারণেই খেলা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। যার প্রমাণ মেলেছে অনুশীলনে।

মাঠ ভেজা থাকার কারণে যখন দুই দল অনুশীলন করতে পারছিল না। তখন বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে মাঠ শুকোনোর চেষ্টা চালাতেও দেখা গেছে ভারতীয়দের। যদিও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই হয়েছে মাঠ কর্তৃপক্ষ। যে কারণে কোনো অনুশীলন ছাড়াই টেস্ট ম্যাচটি খেলার প্রস্তুতি নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান।

অখ্যাত এই স্টেডিয়ামটির নেই দক্ষ মাঠকর্মীও। দর্শকদের জন্য নেই বসার ব্যবস্থা। এমনটি ভেতরে নারীদের জন্য শৌচাগারও নেই। বিদ্যুত ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় মানদণ্ডও ঠিক নেই।

এসব কারণে মাঠটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।

এসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি বিশাল জগাখিচুড়ি অবস্থা। আমরা এখানে আর কখনো আসবো না। খেলোয়াড়রাও এখানকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অসন্তুষ্ট। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আগে থেকেই কথা বলেছিলাম এবং স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছিল যে সবকিছু ঠিকঠাক হবে।’

২০১৭ সালে এখানে ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে, এমন অভিযোগে মাঠটি নিষিদ্ধ করে বিসিসিআই। এরপর থেকে বিসিসিইয়ের আয়োজিত কোনো ম্যাচে এখানে অনুষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে চরম অবহেলার শিকার হয়েছিল স্টেডিয়ামটি।

কিন্তু এই মাঠকে নিজেদের হোমভেন্যু বানিয়ে আগেও খেলেছিল আফগানিস্তান। তাদের প্রত্যাশা ছিল, এতদিনে হয়তো মাঠের অনেককিছুই উন্নত হয়েছে। কিন্তু সেটা ছিল অনেকটা ‘ উদাসীন কবির কল্পনার’ মতো।

ব্যাপারটি উল্লেখ করে এসিবির আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘যখন আমরা শেষবার এখানে এসেছি, এরপর কোনো কিছুই বদলায়নি। একটুও উন্নতি হয়নি।’