ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলু বীজের তীব্র সংকট

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

রাজারহাটে মানসম্মত আলু বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বীজ সরবরাহ করা হলেও চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ একেবারে কম হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আলু চাষিরা। জানা গেছে,উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান কাটা চলছে। অনেকে স্থানে আগাম বোরো ধান কেটে আলু চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যারা ইতোমধ্যে জমি তৈরি করেছেন তারা এবং যারা আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই উন্নত মানের বীজ সংগ্রহে তৎপর।

তবে বাজারে মানসম্মত আলু বীজের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলা বিএডিসির তালিকাভুক্ত ডিলাররা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো উচ্চ মূল্যে আলু বীজ বিক্রি করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার তালিকাভুক্ত ২৫ জন বিএডিসির ডিলার ৫৮ টাকা কেজি দরে ৬৪ মন আলু বীজ বরাদ্দ পান। নীতিমালা অনুযায়ী সেই বীজ তারা কৃষকের কাছে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন। তবে বীজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ডিলার প্রতি কেজি বীজ আলু ১০০ টাকারও বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে রাজারহাট উপজেলায় ২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ দরে বিএডিসি’র বীজ বিক্রি, চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ এবং খোলা বাজারেও মান সম্মত আলু বীজ না পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। উপজেলা সদরের গোবর্ধন দোলা গ্রামের কৃষক নুর কামাল বলেন, আমি নিজের এবং ভাড়া নেওয়া জমিসহ ২ একর জমিতে আলু বীজ বপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে ডিলাররা ৫৮ টাকা কেজির আলু বীজ ১০০ থেকে উপরে বিক্রি করায় বীজ সংগ্রহ করতে পারিনি। একই গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, দুই একর জমিতে আলু বপনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

অনেক দিন ডিলারের পেছনে ঘুরেছি। সবাই বলে বীজ নাই। পরে বাধ্য হয়ে বাবু মিয়া নামের একজনের কাছ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ৩০ বস্তা আলু বীজের জন্য অর্ধেক টাকা বায়না দিয়েছি। বিএডিসি’র ডিলার শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার তপু বলেন, সামান্য বরাদ্দ পাওয়ায় অনেক আগেই আলু বীজ বিক্রি শেষে হয়েছে। কারো কাছে বেশি দাম নেওয়া হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে বিএডিসির আলু বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠায় আমি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আলু বীজের তীব্র সংকট

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

রাজারহাটে মানসম্মত আলু বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বীজ সরবরাহ করা হলেও চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ একেবারে কম হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আলু চাষিরা। জানা গেছে,উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান কাটা চলছে। অনেকে স্থানে আগাম বোরো ধান কেটে আলু চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যারা ইতোমধ্যে জমি তৈরি করেছেন তারা এবং যারা আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই উন্নত মানের বীজ সংগ্রহে তৎপর।

তবে বাজারে মানসম্মত আলু বীজের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলা বিএডিসির তালিকাভুক্ত ডিলাররা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো উচ্চ মূল্যে আলু বীজ বিক্রি করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার তালিকাভুক্ত ২৫ জন বিএডিসির ডিলার ৫৮ টাকা কেজি দরে ৬৪ মন আলু বীজ বরাদ্দ পান। নীতিমালা অনুযায়ী সেই বীজ তারা কৃষকের কাছে সর্বোচ্চ ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন। তবে বীজ সংকটের কারণে অধিকাংশ ডিলার প্রতি কেজি বীজ আলু ১০০ টাকারও বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে রাজারহাট উপজেলায় ২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ দরে বিএডিসি’র বীজ বিক্রি, চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ এবং খোলা বাজারেও মান সম্মত আলু বীজ না পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। উপজেলা সদরের গোবর্ধন দোলা গ্রামের কৃষক নুর কামাল বলেন, আমি নিজের এবং ভাড়া নেওয়া জমিসহ ২ একর জমিতে আলু বীজ বপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে ডিলাররা ৫৮ টাকা কেজির আলু বীজ ১০০ থেকে উপরে বিক্রি করায় বীজ সংগ্রহ করতে পারিনি। একই গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, দুই একর জমিতে আলু বপনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

অনেক দিন ডিলারের পেছনে ঘুরেছি। সবাই বলে বীজ নাই। পরে বাধ্য হয়ে বাবু মিয়া নামের একজনের কাছ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ৩০ বস্তা আলু বীজের জন্য অর্ধেক টাকা বায়না দিয়েছি। বিএডিসি’র ডিলার শাহিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার তপু বলেন, সামান্য বরাদ্দ পাওয়ায় অনেক আগেই আলু বীজ বিক্রি শেষে হয়েছে। কারো কাছে বেশি দাম নেওয়া হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে বিএডিসির আলু বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠায় আমি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছি।