ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান-মেম্বার গ্রুপ’র দফায় দফায় সংঘর্ষে  আহত- ১০,  বাড়ি ভাংচুর

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

ওয়াহিদুজজামান, ক্রাইম রিপোর্টার ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় নারী-পুরুষ-হিন্দু সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। বুধবার ( ৮ জানুয়ারি) ভোরে ভাঙ্গা উপজেলা তুজারপুর ইউনিয়নের কাফেরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে।

এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কাফেরপুর গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান অলি ফকিরের সাথে একই গ্রামের বর্তমান মেম্বার আউয়াল মাতুব্বরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে আউয়াল মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে চেয়ারম্যানের দলের নারী-পুরুষ ও হিন্দু সহ ১০ জন লোক আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের বাড়ি সহ পাচটি ভাঙচুর করে।

আহতরা হল, মিন্টু দাস, রায়হানের স্ত্রী, সাহেব আলী ফকির, প্রশান্ত দাস, তার মা, ও তার শাশুড়ী, তার ভাই সুশান্তকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয় চেয়ারম্যানের চাচা হারুন ফকির বলেন, গত চার/পাচ মাস আগে স্থানীয় তাতিবাজারে সজল দাসের ফার্মেসীতে কাফেরপুর গ্রামের প্রশান্ত দাস ওষুধ কিনতে যায়। ঔষধ কিনা নিয়ে সজল দাসের সাথে সুশান্ত দাসের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়।
এঘটনা নিয়ে পরদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান নেতৃত্বে একটি শালিশ বৈঠক হয়। শালিশ বৈঠক চলাকালে বর্তমান মেম্বার আউয়াল মাতুব্বর সজল দাসের এর পক্ষ নিয়ে সুশান্ত দাসের লোকজনের উপর হামলা করে। তখন চেয়ারম্যান ওলি ফকির সুশান্ত দাসের পক্ষ নিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সেই থেকে চেয়ারম্যানের সাথে আউয়াল মেম্বারের বিরোধ চলে আসছিল। সেই শক্রতার জের ধরে আজ আমার বাড়ির সহ চেয়ারম্যান বাড়ি এবং হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করে।

এ বিষয়ে আওয়াল মেম্বার জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার সাথে চেয়ারম্যানের অলি ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মাঝে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির ঘটনায় ইতিপূর্বে ভাঙ্গা থানায় দুই পক্ষের ৪/৫টি মামলা হয়েছে। আজ সকালে ভাংচুর ও হামলার ঘটনা সত্য নয়।

স্থানীয় তুজারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলি ফকির বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকায় আছি। সকালে শুনলাম আউয়াল মেম্বারের লোকজন কয়েকজন হিন্দু লোকদের মারধর করেছে ও তাদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। আমার বাড়ি সহ আশেপাশের আরো দুই চারটা বাড়ি ভাঙচুর করছে। শামীম ফকিরের ২৫০ ফুট ১টি ডিপ টিউবওয়েলের ভিতর মাটি ঢুকিয়ে নষ্ট করেছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এস,আই আফজাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। বুধবার সকালে মারামারির ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান-মেম্বার গ্রুপ’র দফায় দফায় সংঘর্ষে  আহত- ১০,  বাড়ি ভাংচুর

আপডেট সময় : ০৭:০৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

ওয়াহিদুজজামান, ক্রাইম রিপোর্টার ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় নারী-পুরুষ-হিন্দু সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। বুধবার ( ৮ জানুয়ারি) ভোরে ভাঙ্গা উপজেলা তুজারপুর ইউনিয়নের কাফেরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করে।

এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কাফেরপুর গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান অলি ফকিরের সাথে একই গ্রামের বর্তমান মেম্বার আউয়াল মাতুব্বরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে আউয়াল মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে চেয়ারম্যানের দলের নারী-পুরুষ ও হিন্দু সহ ১০ জন লোক আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের বাড়ি সহ পাচটি ভাঙচুর করে।

আহতরা হল, মিন্টু দাস, রায়হানের স্ত্রী, সাহেব আলী ফকির, প্রশান্ত দাস, তার মা, ও তার শাশুড়ী, তার ভাই সুশান্তকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয় চেয়ারম্যানের চাচা হারুন ফকির বলেন, গত চার/পাচ মাস আগে স্থানীয় তাতিবাজারে সজল দাসের ফার্মেসীতে কাফেরপুর গ্রামের প্রশান্ত দাস ওষুধ কিনতে যায়। ঔষধ কিনা নিয়ে সজল দাসের সাথে সুশান্ত দাসের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়।
এঘটনা নিয়ে পরদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান নেতৃত্বে একটি শালিশ বৈঠক হয়। শালিশ বৈঠক চলাকালে বর্তমান মেম্বার আউয়াল মাতুব্বর সজল দাসের এর পক্ষ নিয়ে সুশান্ত দাসের লোকজনের উপর হামলা করে। তখন চেয়ারম্যান ওলি ফকির সুশান্ত দাসের পক্ষ নিলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সেই থেকে চেয়ারম্যানের সাথে আউয়াল মেম্বারের বিরোধ চলে আসছিল। সেই শক্রতার জের ধরে আজ আমার বাড়ির সহ চেয়ারম্যান বাড়ি এবং হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করে।

এ বিষয়ে আওয়াল মেম্বার জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার সাথে চেয়ারম্যানের অলি ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মাঝে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির ঘটনায় ইতিপূর্বে ভাঙ্গা থানায় দুই পক্ষের ৪/৫টি মামলা হয়েছে। আজ সকালে ভাংচুর ও হামলার ঘটনা সত্য নয়।

স্থানীয় তুজারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলি ফকির বলেন, আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকায় আছি। সকালে শুনলাম আউয়াল মেম্বারের লোকজন কয়েকজন হিন্দু লোকদের মারধর করেছে ও তাদের বাড়ি ভাঙচুর করছে। আমার বাড়ি সহ আশেপাশের আরো দুই চারটা বাড়ি ভাঙচুর করছে। শামীম ফকিরের ২৫০ ফুট ১টি ডিপ টিউবওয়েলের ভিতর মাটি ঢুকিয়ে নষ্ট করেছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার এস,আই আফজাল হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। বুধবার সকালে মারামারির ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।