পুলিশের পিটুনিতে সিএনজি চালক নিহতের ঘটনায় ৪ পুলিশ ক্লোজড

- আপডেট সময় : ০৯:৫২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৫৮ বার পড়া হয়েছে
আলি হায়দার, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পুলিশের পিটুনিতে ইয়াসিন মিয়া (৪০) নামের এক সিএনজি চালকের মৃত্যুর ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানা থেকে চার পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তাদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই চার পুলিশ সদস্য হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাহিদ হাসান, মস্তুফা মিয়া ও কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম। এ বিষয়ে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশার চালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মূলত তদন্তের স্বার্থে তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি বলেন, কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরঝাকালিয়া গ্রামে লিটন মিয়ার বাড়িতে গত সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসআই কামাল হোসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটনের বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। ওই সময় লিটনের বাড়িতে ছিলেন ইয়াসিন মিয়া।
অন্যদের সঙ্গে ইয়াসিনও দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন পড়ে গিয়ে ইয়াসিন জ্ঞান হারায়, পরবর্তীতে হসপিটালে নিলে সে মারা যায়। ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। এ বিষয়ে ওসি তরিকুল ইসলামের ভাষ্য হলো, মৃত্যুর পর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরুতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। তখন শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযানে অংশ নেওয়া এসআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে ফেরত আনা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, এ ঘটনার পরপরই নিহত ইয়াছিনের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন ইয়াছিনকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তোলেন অভিযানে অংশগ্রহণ করা চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।