বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ও ত্রিশাল উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার ভাবখালী ইউনিয়নের একটি মাজারের ওরস অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে টানটান উত্তেজনা চলছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ভক্তরা মাজার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন পালন করে। মানববন্ধনে ত্রিশাল ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মাজার ভক্তরা মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। এর আগে শুক্রবার স্থানীয় মুসল্লিদের একটি পক্ষ ওরসে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করে ওরস প্রতিহতের ঘোষণা ও থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
জানাযায়, ভাবখালী ইউনিয়নের চকবন পাথালিয়া গ্রামের আউলিয়া বাজারে হজরত শাহ নেওয়াজ আলী ফকিরের (র.) মাজারে ওই ওরসের আয়োজন চলছে। এখানে ২৯ জানুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী ৫০তম বার্ষিক ওরস হওয়ার কথা। এলাকাবাসী জানান, ওরসের নামে বিদাত ও শিরক করা হয় দাবি করে ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় কিছু কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম মাজারের লোকজনকে গিয়ে ওরস বন্ধ রাখতে বলেন। এ সময় মাজারের লোকজন তাদের কাছে গান-বাজনা বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই মধ্যে স্থানীয় ভাবখালী বাজারে ইত্তেফাকুল উলামা ও ভাবখালী ঐক্য উলামা পরিষদের ব্যানারে গত শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন করেন মুসল্লিরা। ওরস বন্ধের দাবিতে তারা থানায় একটি আবেদনও করেন।
মাজার কমিটির সদস্য মনির উদ্দিন জানান, ওরস অনুষ্ঠানের জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ৫ জানুয়ারি আবেদন করা হয়। এত বছর ওরস উদযাপনে কোনো বাধা আসেনি; কিন্তু এবার স্থানীয় কয়েকজন ইমাম এটি বন্ধ রাখতে বলছেন। মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ফকিরের ভাষ্য, মাজারে ওরস বন্ধের পাঁয়তারা করছে কিছু লোক।
উত্তেজনার একপর্যায়ে রোববার উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ওসি শফিকুল ইসলাম খান। বৈঠকে ওরসের নামে বাজার, গানবাজনা ও অশ্লীলতা হবে না বলে আশ্বাস দেয় মাজারের লোকজন।
ইত্তেফাকুল উলামার ভাবখালী ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, মাজারে ওরসের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। শুধু জিকির ও কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে। যদি এর ব্যত্যয় হয় বিষয়টি প্রশাসন দেখবে বলে জানিয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।