ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুড়িগ্রামে অটোরিকশা দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো নারীর পাবনা-১ আসনে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক এম এ আজিজ বিস্ময়কর বিদ্যুৎ মানব আয়নাল, খালি হাতে বিদ্যুতের তারে সচলে অভ্যস্ত আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের রাষ্ট্র ও সমাজের কর্ণধার: শিবির সভাপতি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা: নোয়াখালীতে ভুয়া র‍্যাব সদস্য গ্রেফতার উখিয়ায় ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ অজগর উদ্ধার: আতঙ্কের পর নিরাপদে অবমুক্তির প্রস্তুতি

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত অসহায় শিশু ফাতেমা বাঁচতে চায়, সাহায্যের আবেদন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দারার পাড় গ্রামের একটি দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুর পরিবার আজ চরম অসহায়ত্বে দিন কাটাচ্ছে। এই পরিবারের চার বছরের ছোট্ট শিশু ফাতেমা এখন মৃত্যু আর জীবনের মাঝামাঝি অবস্থানে দাঁড়িয়ে। তার শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার।

ছোট্ট এই মেয়েটির বাবা ফুলজার মিয়া একজন খেটে খাওয়া মানুষ। নিজস্ব কোনো ব্যবসা বা জমিজমা নেই। তিনি স্থানীয় এক দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।

সংসারে আছেন স্ত্রী শরিফা, দুই কন্যাসন্তানসহ পাঁচজন সদস্য। তাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা সবচেয়ে ছোট।

শরিফা বেগম জানান, কিছুদিন আগে ফাতেমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রায়ই জ্বর, দুর্বলতা ও শরীরে ব্যথা দেখা দিতে থাকে। প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করালেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, ফাতেমা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। সেখানে বিশেষায়িত চিকিৎসা, নিয়মিত কেমোথেরাপি ও বিভিন্ন ব্যয়বহুল পরীক্ষা প্রয়োজন — যা দরিদ্র ফুলজার মিয়ার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

একটি শিশুর জীবন আজ ঝুঁকিতে

ফাতেমার মতো একটি নিষ্পাপ শিশুর জীবন আজ অর্থের অভাবে অনিশ্চয়তার মুখে। চোখে মুখে অসহ্য কষ্ট আর ক্যান্সারের ছাপ, তবু চোখে একটুখানি আশার ঝিলিক— যদি কোনো সহৃদয় মানুষ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়!

শুধু প্রয়োজন একটু মানবতা, একটু ভালোবাসা। হয়তো আপনার ১০, ৫০ কিংবা ১০০ টাকার সাহায্যেও বাঁচতে পারে এই শিশুটি। সময়মতো চিকিৎসা পেলে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ফাতেমাকে।

ফাতেমার মা শরিফা বেগম চোখে জল নিয়ে বলেন, “আমার মেয়ে তো এখনও ভালোভাবে কথাও বলতে পারে না। এতটুকু বয়সেই তার জীবনে এমন কঠিন রোগ আসবে ভাবতেও পারিনি। ডাক্তাররা বলেছেন দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার, কিন্তু আমাদের পক্ষে সেই খরচ বহন করা অসম্ভব।”

পরিবারটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন এনজিও, মানবিক সংগঠন এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ এখনো সংগ্রহ হয়নি।

এই ছোট্ট প্রাণটিকে বাঁচাতে সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্যের হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবারটি।

আপনার একটুখানি সহানুভূতি ফিরিয়ে দিতে পারে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ, একটি মায়ের মুখে হাসি।

সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা ও যোগাযোগ
নাম: ফুলজার মিয়াগ্রাম: দারার পাড়, ৯নং ওয়ার্ড, উলিপুর পৌরসভা, কুড়িগ্রাম মোবাইল নম্বর: 01774-303534

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত অসহায় শিশু ফাতেমা বাঁচতে চায়, সাহায্যের আবেদন

আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

নুর মোহাম্মদ (রোকন), ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দারার পাড় গ্রামের একটি দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুর পরিবার আজ চরম অসহায়ত্বে দিন কাটাচ্ছে। এই পরিবারের চার বছরের ছোট্ট শিশু ফাতেমা এখন মৃত্যু আর জীবনের মাঝামাঝি অবস্থানে দাঁড়িয়ে। তার শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার।

ছোট্ট এই মেয়েটির বাবা ফুলজার মিয়া একজন খেটে খাওয়া মানুষ। নিজস্ব কোনো ব্যবসা বা জমিজমা নেই। তিনি স্থানীয় এক দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।

সংসারে আছেন স্ত্রী শরিফা, দুই কন্যাসন্তানসহ পাঁচজন সদস্য। তাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা সবচেয়ে ছোট।

শরিফা বেগম জানান, কিছুদিন আগে ফাতেমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রায়ই জ্বর, দুর্বলতা ও শরীরে ব্যথা দেখা দিতে থাকে। প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করালেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, ফাতেমা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। সেখানে বিশেষায়িত চিকিৎসা, নিয়মিত কেমোথেরাপি ও বিভিন্ন ব্যয়বহুল পরীক্ষা প্রয়োজন — যা দরিদ্র ফুলজার মিয়ার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

একটি শিশুর জীবন আজ ঝুঁকিতে

ফাতেমার মতো একটি নিষ্পাপ শিশুর জীবন আজ অর্থের অভাবে অনিশ্চয়তার মুখে। চোখে মুখে অসহ্য কষ্ট আর ক্যান্সারের ছাপ, তবু চোখে একটুখানি আশার ঝিলিক— যদি কোনো সহৃদয় মানুষ তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়!

শুধু প্রয়োজন একটু মানবতা, একটু ভালোবাসা। হয়তো আপনার ১০, ৫০ কিংবা ১০০ টাকার সাহায্যেও বাঁচতে পারে এই শিশুটি। সময়মতো চিকিৎসা পেলে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ফাতেমাকে।

ফাতেমার মা শরিফা বেগম চোখে জল নিয়ে বলেন, “আমার মেয়ে তো এখনও ভালোভাবে কথাও বলতে পারে না। এতটুকু বয়সেই তার জীবনে এমন কঠিন রোগ আসবে ভাবতেও পারিনি। ডাক্তাররা বলেছেন দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার, কিন্তু আমাদের পক্ষে সেই খরচ বহন করা অসম্ভব।”

পরিবারটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন এনজিও, মানবিক সংগঠন এবং উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ এখনো সংগ্রহ হয়নি।

এই ছোট্ট প্রাণটিকে বাঁচাতে সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্যের হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবারটি।

আপনার একটুখানি সহানুভূতি ফিরিয়ে দিতে পারে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ, একটি মায়ের মুখে হাসি।

সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা ও যোগাযোগ
নাম: ফুলজার মিয়াগ্রাম: দারার পাড়, ৯নং ওয়ার্ড, উলিপুর পৌরসভা, কুড়িগ্রাম মোবাইল নম্বর: 01774-303534