ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে ফের অপহরণ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণ করে নিয়ে গেছে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। বর্তমানে ভিকটিমকে নিয়ে তারা অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি প্রথমবার ওই স্কুলছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় তার মাতা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় সি.পি-২০/২০২৫ নম্বর মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন কক্সবাজার জেলা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-কে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ হাফিজ আল-আসাদ ২৯ জানুয়ারি অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তার ওইদিনই ভিকটিমের ২২ ধারা মতে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর ভিকটিমকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়।

তদন্ত শেষে সিআইডি কর্মকর্তা তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন, রাহমত উল্লাহ (২৩), পিতা: বদিউল আলম, গ্রাম: পিনজিরকুল (ঘোনার পাড়া), রাজাপালং ইউনিয়ন, নুরুল আবছার (২৪), পিতা: আমির হোছন, গ্রাম: হরিণমারা (ঐচ্ছারজুম), মোঃ আলমগীর (২৫), পিতা: মৃত নুরুল আমিন, গ্রাম: ডেইলপাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন|

তবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার পর অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভিকটিমকে পুনরায় নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩, (বুধবার) ১৬ এপ্রিল-২০২৫, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাবেদুল আনোয়ার রুবেল ও এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরু।

ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী অবিলম্বে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

উখিয়ায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে ফের অপহরণ

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে দ্বিতীয়বারের মতো অপহরণ করে নিয়ে গেছে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। বর্তমানে ভিকটিমকে নিয়ে তারা অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি প্রথমবার ওই স্কুলছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় তার মাতা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় সি.পি-২০/২০২৫ নম্বর মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন কক্সবাজার জেলা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-কে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ হাফিজ আল-আসাদ ২৯ জানুয়ারি অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তার ওইদিনই ভিকটিমের ২২ ধারা মতে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর ভিকটিমকে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়।

তদন্ত শেষে সিআইডি কর্মকর্তা তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন, রাহমত উল্লাহ (২৩), পিতা: বদিউল আলম, গ্রাম: পিনজিরকুল (ঘোনার পাড়া), রাজাপালং ইউনিয়ন, নুরুল আবছার (২৪), পিতা: আমির হোছন, গ্রাম: হরিণমারা (ঐচ্ছারজুম), মোঃ আলমগীর (২৫), পিতা: মৃত নুরুল আমিন, গ্রাম: ডেইলপাড়া, জালিয়াপালং ইউনিয়ন|

তবে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার পর অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভিকটিমকে পুনরায় নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩, (বুধবার) ১৬ এপ্রিল-২০২৫, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাবেদুল আনোয়ার রুবেল ও এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরু।

ভিকটিমের পরিবার ও এলাকাবাসী অবিলম্বে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।