ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিককে বাধা, সাংবাদিক সংগঠন ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি

ইবি সংবাদদাতা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাধা, হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তা সংকটে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছে দৈনিক বাংলা’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র দপ্তর সম্পাদক সাকিব আসলাম।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর এ আবেদনপত্রটি জমা দেন ওই ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

আবেদন পত্রে তিনি বলেন, “গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাতে শাহ আজিজুর রহমান আবাসিক হলে সংঘটিত একটি মারধরের ঘটনার তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে উপস্থিত হই। দায়িত্ব পালনকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তৌহিদুল ইসলাম (ইবি শাখা ছাত্রদল কর্মী), ইসমাইল হোসেন রাহাত (সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখা), সায়েম আহমেদ, এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-ই-আলমসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন। তারা আমার প্রতি আপত্তিকর ও হুমকিসূচক ভাষায় বলেন, “তুই এখানে আসিস কীভাবে ?”, “ওর ক্যামেরা ভেঙে ফেল, “বের হ”, “আমি রাহাত বলছি—আপনি ঢুকতে পারবেন না” “রিপোর্টার্স ইউনিটি কিভাবে থাকে দেখে নেব” ইত্যাদি।”

অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করে বলেন, “এমনকি তারা বলার সময় আমাকে ঘিরে ধরেন এবং এক পর্যায়ে বলেন, “তুই মারার পর ক্যামেরার ভয় দেখাস?”—এই ভাষা ও আচরণ একদিকে আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে, অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি মুক্তচিন্তার পরিসরে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” তিনি উপর্যুক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার স্বাধীন পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান বলেন, “একটা অভিযোগপত্র পেয়েছি। ঘটনার সার্বিক বিষয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে ২ টা তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওখানে সবকিছু পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা হবে এবং সমাধান করা হবে।