ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পালিত ছেলের হাতে মা খুন

মনির হোসেন, বেনাপোল
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

যশোর শহরের মনিহার ফলপট্টি এলাকায় পালিত ছেলের হাতে খুন হয়েছেন সুলতানা খালেদা সিদ্দিকা রুমি (৬০) নামের এক নারী। নিহত খালেদা ওই এলাকার মৃত শেখ শাহজাহানের স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত পালিত পুত্র শেখ শামস বিন শাহজাহান (১৯) তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে ২৪ মে শুক্রবার রাত ২টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে। নিহতের ভাড়াটিয়া ইমরান (২৫) জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে রুম থেকে চিৎকার ও বাকবিতণ্ডার শব্দ পান। এরপর দুইজনেই নিশ্চুপ হয়ে যান। সন্দেহ হলে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসআই জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলার অনুরোধ করলে আসামি শামস দরজা খুলে দেন। তার দেখানো মতে পুলিশ ঘরে ঢুকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই শেখ শামসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা গেছে, খালেদা-শাহজাহান দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। ১৯ বছর আগে কুমিল্লা থেকে তিন মাস বয়সী শামসকে দত্তক নেন তারা। তবে গত চার-পাঁচ বছর ধরে শামস মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই মায়ের কাছে টাকা চাইত। টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত বলেও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নেশার টাকার জন্যই বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে খালেদা সিদ্দিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিত ছেলে শামস। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত।

 

 

প্রলয়/তাসনিম তুবা 

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

পালিত ছেলের হাতে মা খুন

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

যশোর শহরের মনিহার ফলপট্টি এলাকায় পালিত ছেলের হাতে খুন হয়েছেন সুলতানা খালেদা সিদ্দিকা রুমি (৬০) নামের এক নারী। নিহত খালেদা ওই এলাকার মৃত শেখ শাহজাহানের স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদকাসক্ত পালিত পুত্র শেখ শামস বিন শাহজাহান (১৯) তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটে ২৪ মে শুক্রবার রাত ২টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে। নিহতের ভাড়াটিয়া ইমরান (২৫) জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে রুম থেকে চিৎকার ও বাকবিতণ্ডার শব্দ পান। এরপর দুইজনেই নিশ্চুপ হয়ে যান। সন্দেহ হলে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসআই জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলার অনুরোধ করলে আসামি শামস দরজা খুলে দেন। তার দেখানো মতে পুলিশ ঘরে ঢুকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই শেখ শামসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জানা গেছে, খালেদা-শাহজাহান দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। ১৯ বছর আগে কুমিল্লা থেকে তিন মাস বয়সী শামসকে দত্তক নেন তারা। তবে গত চার-পাঁচ বছর ধরে শামস মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই মায়ের কাছে টাকা চাইত। টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত বলেও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নেশার টাকার জন্যই বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে খালেদা সিদ্দিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিত ছেলে শামস। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত।

 

 

প্রলয়/তাসনিম তুবা