ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাল স্ট্যাম্প ও জাল টাকা তৈরী করে কোটিপতি সাজ্জাদ ওরফে সাদ্দাত

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আব্দুল্লাবাদ ছোট পাল্লা গ্রামের কৃষক সোহরাব খালাসীর পুত্র সাজ্জাদ খালাশী ওরফে সাদ্দাত হোসেনের বিরুদ্ধে জাল স্ট্যাম্প ও জাল টাকা তৈরী করে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ব্যবসায় রীতিমতো কোটিপতি বনে গেছেন সাধারণ কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা এই সাজ্জাদ।

ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর এলাকাবাসী এ অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাজ্জাদ খালাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা, সরকারী-বেসরকারী, ব্যাংক -বীমা প্রতিষ্ঠানে স্ট্যাম্প সাপ্লাইয়ের ব্যবসার অনুকূলে জাল স্ট্যাম্প ও জাল টাকা তৈরি করে ব্যবসা করছেন।

কিছুদিন পূর্বেও সে এবং তার বাবা অন্যের জমিতে হালচাষ করত এবং বদলা দিত ৷ হঠাৎ করে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান। তৈরী করেছেন বিলাশবহুল অট্টালিকা।

সাধারণ কৃষি পরিবারের সন্তান হয়ে এত বড় বিলাশবহুল বাড়ী, গাড়ি নিয়ে এলাকায় আসা যাওয়া, ছুটির দিনে তার বাড়িতে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের আনাগোনায় আমরা এলাকাবাসী নিশ্চিত, এই সাজ্জাদ এসব অবৈধ কাজের সাথে লিপ্ত।

সরকার পরিবর্তনের পুর্বে তিনি এলাকার জনগণকে বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা তাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন এবং ফরিদপুর ৪ এর এমপি নিক্সন চৌধুরীর সাথে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। এদেশে দুদক কেন প্রশাসনের কোন লোকই তাকে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। প্রকাশ্যে তিনি এইসব কথা বলে বেড়াতেন ৷

৫ ই আগস্ট ২০২৪ সরকার পতনের পরে ঢাকা ও তার নিজ গ্রাম ছেড়ে ফরিদপুরে আত্মগোপনে আছে বলে আমরা জানি। বর্তমানে এই সাজ্জাদ খালাসী তার বাহিনী নিয়ে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় জাল স্ট্যাপ ও জাল টাকার সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এই সাজ্জাদ খালাশী ওরফে সাদ্দাত হোসেনের ১৫ টি ব্যাংকে তার একাউন্টের তথ্য উঠে এসেছে। গোপন সুত্রে এসব একাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার জ্যামাইকা টুরে গিয়েছেন বলে তার ফেসবুক একাউন্ট (মোঃ সাদ্দাত হোসেন) এর মাধ্যমে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, এই সাজ্জাদ আইনের হাত থেকে বাঁচতে আমেরিকা পালাইছে। তার স্ত্রীর নামেও একাধিক ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সাজ্জাদের মুঠোফোন(017-5-69–08) নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাল স্ট্যাম্প ও জাল টাকা তৈরী করে কোটিপতি সাজ্জাদ ওরফে সাদ্দাত

আপডেট সময় : ০৮:২৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আব্দুল্লাবাদ ছোট পাল্লা গ্রামের কৃষক সোহরাব খালাসীর পুত্র সাজ্জাদ খালাশী ওরফে সাদ্দাত হোসেনের বিরুদ্ধে জাল স্ট্যাম্প ও জাল টাকা তৈরী করে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ব্যবসায় রীতিমতো কোটিপতি বনে গেছেন সাধারণ কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠা এই সাজ্জাদ।

ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর এলাকাবাসী এ অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাজ্জাদ খালাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা, সরকারী-বেসরকারী, ব্যাংক -বীমা প্রতিষ্ঠানে স্ট্যাম্প সাপ্লাইয়ের ব্যবসার অনুকূলে জাল স্ট্যাম্প ও জাল টাকা তৈরি করে ব্যবসা করছেন।

কিছুদিন পূর্বেও সে এবং তার বাবা অন্যের জমিতে হালচাষ করত এবং বদলা দিত ৷ হঠাৎ করে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান। তৈরী করেছেন বিলাশবহুল অট্টালিকা।

সাধারণ কৃষি পরিবারের সন্তান হয়ে এত বড় বিলাশবহুল বাড়ী, গাড়ি নিয়ে এলাকায় আসা যাওয়া, ছুটির দিনে তার বাড়িতে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের আনাগোনায় আমরা এলাকাবাসী নিশ্চিত, এই সাজ্জাদ এসব অবৈধ কাজের সাথে লিপ্ত।

সরকার পরিবর্তনের পুর্বে তিনি এলাকার জনগণকে বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা তাকে সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন এবং ফরিদপুর ৪ এর এমপি নিক্সন চৌধুরীর সাথে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। এদেশে দুদক কেন প্রশাসনের কোন লোকই তাকে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। প্রকাশ্যে তিনি এইসব কথা বলে বেড়াতেন ৷

৫ ই আগস্ট ২০২৪ সরকার পতনের পরে ঢাকা ও তার নিজ গ্রাম ছেড়ে ফরিদপুরে আত্মগোপনে আছে বলে আমরা জানি। বর্তমানে এই সাজ্জাদ খালাসী তার বাহিনী নিয়ে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় জাল স্ট্যাপ ও জাল টাকার সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এই সাজ্জাদ খালাশী ওরফে সাদ্দাত হোসেনের ১৫ টি ব্যাংকে তার একাউন্টের তথ্য উঠে এসেছে। গোপন সুত্রে এসব একাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার জ্যামাইকা টুরে গিয়েছেন বলে তার ফেসবুক একাউন্ট (মোঃ সাদ্দাত হোসেন) এর মাধ্যমে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, এই সাজ্জাদ আইনের হাত থেকে বাঁচতে আমেরিকা পালাইছে। তার স্ত্রীর নামেও একাধিক ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সাজ্জাদের মুঠোফোন(017-5-69–08) নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।