ভাঙ্গায় প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা

- আপডেট সময় : ০৫:২৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
- / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
ওয়াহিদুজ জামান,ক্রাইম রিপোর্টার ফরিদপুর
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কেয়া আক্তার (২০ )নামক এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে তার বাবার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আবুল কালাম খানে মেয়ে এবং ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলা আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্রা গ্রামের রোকন উদ্দীন ফকির ছেলে লিভিয়া প্রবাসী ইসরাফিল (২৫) এর স্ত্রী ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,প্রবাসী এক বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে।এর পরে কেয়া আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। কেয়ার স্বামী বিয়ের করে ছয় মাস পরে লিবিয়া চলে যায়। পরে লিবিয়া গিয়ে এর স্ত্রীর কে লিবিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে পাসপোর্ট করতে বলে। পাসপোর্ট রেডি করে লিবিয়া প্রবাসী স্বামীকে জানায় কেয়া।
এদিকে ভিসা জটিলতার কারণে দেরি হওয়াতে স্বামীর সঙ্গে রাগে অভিমানে আত্মহত্যা করে কেয়া।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমার মেয়ে রাতে আমাদের সাথে এক সাথে খাবার খেয়ে তার নিজ রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।এর পরে আড়ার সঙ্গে তার নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে রাতে কোন এক সময় আত্মহত্যা করে।
রাতে রুমের দরজা বন্ধ দেখে কেয়া আক্তারকে ডাকাডাকি করি। রুমের ভিতর থেকে সারা শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে মেয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে কেয়াকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামানো হয়।পরে ভাঙ্গা থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন,পারিবারিক কলহের জেরধরে গৃহবধূ কেয়া আক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই পক্ষের কোন অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশটি নিহতের পারিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়েছে।