ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলন্ত বাসের ধাক্কায় যাত্রী আহত

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা

টালিগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি বেসরকারি 40B বাস যার নং WB04 F8677, ঠিক রবীন্দ্র সরোবর এর কাছাকাছি আসতেই ড্রাইভার হঠাৎ করে আচমকা জোরে ব্রেক করলে। এক বয়স্ক বৃদ্ধ ছিটকে বাসের মধ্যে পড়ে মাথা ফেটে যায়।

এমনকি আরও কয়েকটি জায়গা কেটে যায়। রক্ত ঝরতে থাকে, বাসের ভেতর যাত্রীরা চেঁচিয়ে ওঠেন, কন্টাকটার ও ড্রাইভার ওই অবস্থায় গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কোনভাবেই ওই আহত ব্যক্তিকে সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার ধারে বসিয়ে দেন।

এবং গাড়িটি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু বাসের যাত্রীরা প্রতিবাদ করে উঠেন বাসটিকে দাঁড় করাতে বলেন, শুধু তাই নয় তাহারা এবং রাস্তার পাশে থাকা যাত্রীরা বাসটিকে জোড় করে সাইড করিয়ে দেন, তখনো পর্যন্ত ড্রাইভার ও কন্টাকটার এতটুকু সহযোগিতার হাত বাড়াননি বৃদ্ধর দিকে। অঝোরে বৃদ্ধার রক্ত ঝরতে থাকে।

সামনেই ঠিক পি এস সির উল্টো দিকেই একটি সিগনালে পাশে গাড়িটিকে দাঁড় করানোর পর ডিউটিরত ট্রাফিক হোম গার্ড কে ডাকেন, এবং বাসে যাত্রীরা তাহাকে বলেন এক্ষুনি থানায় খবর দেন। প্রথমটা কিন্তু করলেও বাধ্য হয় থানায় খবর দিতে এবং ডিউটিরত সার্জেনকে ডাকার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে দুইজন সার্জেন এসে উপস্থিত হন। এদিকে বাস যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন, এবং ডাইভার ও কন্টাকটার কে আটকে রাখেন। শুধু তাই নয় যাত্রীরা গাড়ি থেকে সবাই নেমে পড়েন।

কিছুক্ষণ পর ডিউটিরত সার্জেন্ট অফিসার ঘটনা স্থলে আসার পর সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং বাসের কন্টাকটার এবং ডিউটি রতো হোমগার্ড কে দিয়ে বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গাড়ি করে হসপিটালে পাঠানোর চেষ্টা করেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে যাত্রীদের কাছে ঘটনা বিবরণ শুনলেও ড্রাইভার বারবার মিথ্যা কথা বলার চেষ্টা করেন। যাত্রীরা জানান , আমরা না প্রতিবাদ করলে ড্রাইভার ও কন্টাকটার ওইভাবে একটি আহত যাত্রীকে ফেলে রেখে চলে যেতো এবং বৃদ্ধার একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো, অফিসার শোনার পর গাড়িটি আটক করেন এবং ড্রাইভারকে নিয়ে থানায় যান,

প্রায় বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা যায় কন্টাকটাররা যাত্রীদের উপর খারাপ আচরণ করে থাকেন কখনো চালানো নিয়ে আবার কখনো ভাড়া নেই, বেশিরভাগ কন্টাক্টারদের মুখে শোনা যায়, গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার কথা বলতেও, এতে যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ও প্রতিবাদ করলে, কন্টাকটার কে আরো বেশি খারাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। যাত্রীদের কে বাস যাত্রী বলে মনে করেন না। যখন আরেকটি একই রুটের বাস কাছাকাছি এসে যায়, দ্রুত চালাতে গিয়ে এরকম দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। হঠাৎ জোরে ব্রেক করার ফলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

চলন্ত বাসের ধাক্কায় যাত্রী আহত

আপডেট সময় : ০৯:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা

টালিগঞ্জের দিক থেকে আসা একটি বেসরকারি 40B বাস যার নং WB04 F8677, ঠিক রবীন্দ্র সরোবর এর কাছাকাছি আসতেই ড্রাইভার হঠাৎ করে আচমকা জোরে ব্রেক করলে। এক বয়স্ক বৃদ্ধ ছিটকে বাসের মধ্যে পড়ে মাথা ফেটে যায়।

এমনকি আরও কয়েকটি জায়গা কেটে যায়। রক্ত ঝরতে থাকে, বাসের ভেতর যাত্রীরা চেঁচিয়ে ওঠেন, কন্টাকটার ও ড্রাইভার ওই অবস্থায় গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কোনভাবেই ওই আহত ব্যক্তিকে সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার ধারে বসিয়ে দেন।

এবং গাড়িটি নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু বাসের যাত্রীরা প্রতিবাদ করে উঠেন বাসটিকে দাঁড় করাতে বলেন, শুধু তাই নয় তাহারা এবং রাস্তার পাশে থাকা যাত্রীরা বাসটিকে জোড় করে সাইড করিয়ে দেন, তখনো পর্যন্ত ড্রাইভার ও কন্টাকটার এতটুকু সহযোগিতার হাত বাড়াননি বৃদ্ধর দিকে। অঝোরে বৃদ্ধার রক্ত ঝরতে থাকে।

সামনেই ঠিক পি এস সির উল্টো দিকেই একটি সিগনালে পাশে গাড়িটিকে দাঁড় করানোর পর ডিউটিরত ট্রাফিক হোম গার্ড কে ডাকেন, এবং বাসে যাত্রীরা তাহাকে বলেন এক্ষুনি থানায় খবর দেন। প্রথমটা কিন্তু করলেও বাধ্য হয় থানায় খবর দিতে এবং ডিউটিরত সার্জেনকে ডাকার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে দুইজন সার্জেন এসে উপস্থিত হন। এদিকে বাস যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন, এবং ডাইভার ও কন্টাকটার কে আটকে রাখেন। শুধু তাই নয় যাত্রীরা গাড়ি থেকে সবাই নেমে পড়েন।

কিছুক্ষণ পর ডিউটিরত সার্জেন্ট অফিসার ঘটনা স্থলে আসার পর সহযোগিতার হাত বাড়ান এবং বাসের কন্টাকটার এবং ডিউটি রতো হোমগার্ড কে দিয়ে বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গাড়ি করে হসপিটালে পাঠানোর চেষ্টা করেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে যাত্রীদের কাছে ঘটনা বিবরণ শুনলেও ড্রাইভার বারবার মিথ্যা কথা বলার চেষ্টা করেন। যাত্রীরা জানান , আমরা না প্রতিবাদ করলে ড্রাইভার ও কন্টাকটার ওইভাবে একটি আহত যাত্রীকে ফেলে রেখে চলে যেতো এবং বৃদ্ধার একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো, অফিসার শোনার পর গাড়িটি আটক করেন এবং ড্রাইভারকে নিয়ে থানায় যান,

প্রায় বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা যায় কন্টাকটাররা যাত্রীদের উপর খারাপ আচরণ করে থাকেন কখনো চালানো নিয়ে আবার কখনো ভাড়া নেই, বেশিরভাগ কন্টাক্টারদের মুখে শোনা যায়, গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার কথা বলতেও, এতে যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ও প্রতিবাদ করলে, কন্টাকটার কে আরো বেশি খারাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। যাত্রীদের কে বাস যাত্রী বলে মনে করেন না। যখন আরেকটি একই রুটের বাস কাছাকাছি এসে যায়, দ্রুত চালাতে গিয়ে এরকম দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। হঠাৎ জোরে ব্রেক করার ফলে।