জিপিএ-৫ এ এবারও মেয়েরা এগিয়ে, জিপিএ পায়নি সরকারি কলেজ

- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ১১৮ বার পড়া হয়েছে
আহসান হাবিব, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ সর্বাধিক রেকর্ড করেছে নারী শিক্ষাখ্যাত প্রতিষ্ঠান কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। কোন জিপিএ ৫ পায়নি তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে প্রকাশিত হয় এ ফলাফল।
প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলায় এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নিয়েছিল মোট ৮৯৬ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৫৩৫ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৬১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ১৯ জন শিক্ষার্থী।
এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০২ জন। তার মধ্যে পাশ করেছে ১৪০ জন। তার পাশের হার ৬৯.৩১%।
ভজনপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। এ প্রতিষ্ঠানটির ২২৬ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১১৯ জন। মাঝিপাড়া মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৫৫ জন। তেঁতুলিয়া সরকারি কলেজ থেকে কোন জিপিএ পায়নি। এ প্রতিষ্ঠানটি ২২৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৩৩ জন।
মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কালান্দিগছ ফাযিল মাদরাসা থেকে ২১ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬ জন। ভজনপুর ফখরুন্নেসা ফাযিল মাদরাসা থেকে ২৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ১৬ জন। মাদরাসা পর্যায়ে দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ পায়নি কেউ।
অপরদিকে কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শালবাহান উচ্চ মাধ্যমিক বিএম অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ২৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৮ জন ও ভজনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিএম অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে ৩২ জনের মধ্যে ২৮ জন পাশ করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ পেয়েছে ০১ জন।
কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক বলেন, এবারও আমাদের নারী শিক্ষাখ্যাত কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এইচএসসিতে ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০২ জন। তার মধ্যে পাশ করেছে ১৪০ জন। তার পাশের হার ৬৯.৩১%। আগামীতে শতভাগ হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব